ঢাকা: লাল ভবনের সামনেই পোস্টার, ব্যানার আর উৎসুক মানুষ দাঁড়িয়ে। কখন যেতে দিবে ভেতরে, কখন শুরু হবে উৎসবের সেই ক্ষণ। এমনই দৃশ্য ছিল দুদিনই ছায়ানটের সামনে। হবে নাই বা কেন। শুরু হয়েছিল ছায়ানট নৃত্য উৎসব ১৪২২। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত শিল্পীদের এমন শাস্ত্রীয় নৃত্যের আয়োজনে মেতে ছিলেন শিল্পী-দর্শক-আয়োজকেরা। ছিলো মণিপুরী, ভরতনাট্যম, ওড়িষা, গৌড়ীয় নৃত্য, কত্থকসহ নানান আঙ্গিকের নৃত্যশৈলীর পরিবেশনা।
প্রথম দিনের আয়োজনের সূচনা হয় মণিপুরী নৃত্যের মাধ্যম। এই সম্প্রদায়ের জীবনের প্রতিটি পর্বেই রয়েছে মণিপুরী নৃত্যের উপলক্ষ্য। হোক তা বিবাহ, জন্ম কিংবা আর কোন উৎসব। নৃত্য ও সঙ্গীতের সঙ্গে যোগ নেই এমন মানুষ মণিপুরে দুর্লভ। উৎসব মণ্ডপে সাধারণের সঙ্গে মিলিত হন রাজ সভাসদগণ। সেদিন মণিপুরী পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীবৃন্দ, তামান্না রহমান, নৃত্যম নৃত্যশীলন কেন্দ্র, ওয়ার্দা রিহাব, ধৃতি নর্তনালয়।