জি,এম স্বপ্না :
দেশে জারি হয়েছে ৩ দিনের হিট আ্যালার্ট। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকার বাহাদুর ৭ দিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছে। বৈশাখী গরম হাওয়ায় সবার জীবন যাই যাই ভাব। কোথাও যেন স্বস্থি নেই। মনে হয় যেন চারদিকে লু হাওয়া বইছে। তাই
প্রখর রোদ,প্রচণ্ড খরা ও ভয়াবহ তাবদাহে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সলঙ্গার জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন।ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। থানার পশ্চিম এলাকায় কারো কারো বাড়ির টিউবওয়েলে উঠছে পানি। ইরির জমিতে পানি দিতেদদই নাই। কৃষক যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে।বয়:বৃদ্ধ / শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস।নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক,শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি।এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড সেডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচণ্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে।সলঙ্গার রিকশাচালক তাহাজ উদ্দিন (৫৫) বলেন,একেতো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। সলঙ্গা-তাড়াশ আঞ্চলিক পাকা রাস্তার সিএনজি চালক রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিক,মামুন জানায়,প্রচণ্ড রোদের কারনে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না। হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বরে কয়েকজন পথচারী বলেন,বেশ কয়েকদিন ধরে সবচেয়ে বেশি রোদ ও তাপদাহ শুরু হয়েছে। এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।