তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অবসর জনিত বিদায় অনুষ্ঠানের মানপত্র আনতে দেরি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষক ও তাঁর দুই ছেলে মিলে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক (৪৬)কে মারধর করেন। আর এ ঘটনার ৩ দিন পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসাব্বির হোসেন।তিনি জানান উপজেলা রির্সোস সেন্টারের প্রশিক্ষক মো. আবু রাহাত আনসারীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফ আলী ও মো. মাহমুদুর রহমান।এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসাব্বির হোসেন বরাবর লিখিত আবেদন করেন।তদন্ত কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময়সীমা বেধেঁ হয়েছে।তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা রির্সোস সেন্টারের প্রশিক্ষক মো. আবু রাহাত আনসারী বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তদন্ত কমিটির সকল সদস্যরা তদন্তের কাজ শুরু করবেন।
উল্লেখ্য:গত ২৬ ফেব্রুয়ারী জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদায়ী সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু তিনি মানপত্র আনতে দেরি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে গালাগাল দিয়ে মারপিট শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি সেখানে থাকা তাঁর দুই ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৬), মনিরুজ্জামান (৩২) ও তাঁর এক ভাতিজা মোস্তাকিনসহ ৭ থেকে ৮ জন স্বজনদেরকে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক কে পেটানোর জন্য নির্দেশ দেন। আর নির্দেশ পেয়েই তাঁরা লাঠি নিয়ে প্রধান শিক্ষককের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন এবং বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক সময় ওই প্রধান শিক্ষক রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।