ফারুক আহমেদ সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ থেকেঃ
উত্তর বঙ্গের প্রবেশ দ্বার হিসেবে খ্যাতঃ সর্ব বৃহৎ থানার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে পৌষের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে থানায় তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে।ফলে পুরোদমে জেঁকে বসেছে শীত। দিনভর কনকনে শীতের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
তবে সরেজমিনে সলঙ্গার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, ঘনকুয়াশা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং দিনভর হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো।
গত তিন চার দিন ধরে কথাও সূর্যের দেখা মিলেনি কনকনে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ভোরে ঘনকুয়াশা থাকার কারণে সলঙ্গা থানার বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।দিনমজুর রফিজুল হক এই প্রতিনিধেকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডা অনেকটাই বেড়েছে। বাতাসের কারণে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। পেটের তাগিদে শীতের মধ্যে আমাদের প্রতিদিন কাজের জন্য বের হতে হয়।ভ্যানচালক হামিদুল বলেন, ঠাণ্ডায় অনেকেই বাড়ি থেকে না বের হাওয়ায় লোকজন তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যে হারে ঠাণ্ডা বাতাস তাতে সবার চলাচল করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।
আমশড়া জোরপুকুর বাজারের চায়ের দোকানদার আব্দুল আজিজ জানান, সকালে আমার দোকানে কাস্টমার নেই বললে চলে বিকালে একটুকু বাড়ে। আমি আমার পরিবার নিয়ে দূরচিন্তায় আছি দোকানে বেচা- কেনা নেই বললি চলে। ঠান্ডার কারণে লোকজন বাজারে আসছে কম।