![সিরাজগঞ্জে প্রাথমিকের ১৭৯ শিক্ষকের পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত](https://ci6.googleusercontent.com/proxy/yEg0kj87ej_RSGiKglDwOj7rdpiSaH__ByQQ_cf3tLEvj4mZVM0M8aVkGlG6MUhAsEO4aaokYiKCP3AnYWAm9iPrvCh4ziiPD_mIQyUFpoIVG93nLiWv8rrTYVSsjR4O21tSDkUs9RBF15UqGwt-8FWJz4mG-bB5g14UlQw9OoUE1KAv-ApiDOgYihNxEzbsb09EVdS7UiLM29Fo9VAC3U2MHKl-eOF3aoFURLYbchKWq3TQPtYjjB9CXzhDhqrk3g_zXEI-gs40FEMv2147kkX8_oDdlLxKzoU=s0-d-e1-ft#https://cdn-ittefaq-com.cdn.ampproject.org/ii/AW/s/cdn.ittefaq.com/contents/cache/images/400x225x1/uploads/media/2022/08/15/e275104380b7ece30a857a207ee7bc5b-62fa03aaca324.jpg?jadewits_media_id=47520)
সিরাজগঞ্জ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭৯টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৯৯টি প্রধান শিক্ষক এবং ৮০টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ২৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন যাবত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মোট ১৭৯টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদগুলো শূন্য থাকার কারণে বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন। তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বেশি সংখ্যক ক্লাস নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে।কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার ফলে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছামতো চলেন। এছাড়া, একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে পারেন না। এতে করে শিক্ষক সংকট আরও প্রকট হয়। কেননা, তাকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আপেল মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের শূন্য সংক্রান্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে এই পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এবং সহকারী শিক্ষকের পদগুলো নিয়োগ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পূরণ করা হবে।’
|