আবুল কালাম আজাদ. নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহা/২২ উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৮৫ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরা। উপজেলায় কোরবানির চাহিদা ৩৬ হাজার ৬৫২ টি । চাহদার চেয়ে সাড় ৪৮ হাজার উদ্বৃত্ত্ব পশু বাইরে বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগির হোসেন জানান- গত সপ্তাহে সর্ব শেষ জরিপে উপজেলায় ২ হাজ়ার ৩৫৬ খমারি ৮৪ হাজার ১০০ কোরবানির পশু মধ্যে ২৮ হাজার ৯৩৬টি গরু ও মহিষ,( ষাঁড় ২০ হাজার , বলদ ২হাজার ৫৪৪ টি, গাভি / বকনা ৫ হাজার ৫৮৩ টি এবং মহিষ ৬৮৭ টি) , ম ৫০ হাজার ৬১০ টি ছাগল ও ৫ হাজার ৫৪৬ টি ভেড়াআসন্ন ঈদুল আযহার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছেন । এসব পশুর বাজারমূল্য অন্তত প্রায় ৫ ০০ কোটি টাকা। এবার গুরুদাসপুর উপ জেলায় প্রায় ৩৭হাজার কোরবানির পশু জবাই হবে বলে আশা করছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। এবারে গুরুদাসপুর উপজেলায় চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৪৮ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে,। উপজেলায় মোট খামারির সংখ্যা ২ হাজার ৩৫৬ জন । এর মধ্যে বানিজ্যিক খামার ৭৫ টি। উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা আলমগির হোসেন জানান , কোরবানির দিন এগিয়ে আসার সাথে বানিজ্যিক খমার এবং পশুর সংখ্যাও বাড়বে । আগামি সপ্তাহে চুড়ান্ত জরিপ করে কোরবানির পশুর সর্বশেষ সংখ্যা জানা যাবে।
এব্যাপারে বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের খামারি রেজাউল করিম জানান, তিনি আসন্ন কোরবানির জন্যে ২০ টি উন্নত জাতের ষাঁড় পালন করেছিলেন। কিন্তু বাজারে গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার ব্যবস্থাপনার খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে্ ।কোরবানি পর্যন্ত খরচ কুলাতে না পারার আশংকায় গত সপ্তাহে সবকয়টা ষাঁড় বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি জানান, বর্তমান বাজারে চাউলের চেয়ে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বেশী। বাজারে ১ কেজি চাউল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা আর ১ কেজি গমের ভূষি বিক্রী হচ্ছে মান ভেদে ৬০-৭০ টাকা। গত ২ সপ্তাহ আগে প্রকারভেদে বিক্রী হত প্রতি কেজি গমের ভূষি ৪০-৫০ টাকা, বর্তমানে ৬০-৭০ টাকা। চালের খুদ আগে ২২-২৮ টাকা, বর্তমানে ৩৫-৪০ টাকা। খৈল আগে ৩৮ – ৪৫ টাকা, বর্তমানে ৫০-৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লেবারসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা খরচও অনেক বেড়েছে। তাই খামার পরিচালনার ব্যয় বহন করা সম্ভব না হওয়ায় আগেই গরুগুলি বিক্রী করেছেন। খামারি হাজি সাখাওয়াত হোসেন, এবং ঝাউপাড়ার মাসুদও রেজাউলের বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করে মত দেন।প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা আলমগির হোসেন গো খদ্যের মুল্য বৃদ্ধির ব্যাপার বলেন, বাজারে সব ধরনের গো খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই কৃষক ও খামারিদের গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর উপড় জোর দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশুর দামও বেড়ে যাবে।
|