জিটিবি নিউজ ডেস্কঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিট্যাবল ট্রাস্টের পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে।বৃহস্পতিবার দুই মামলারই বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের অসমাপ্ত জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
আদালতে হাজিরা দিতে সকাল নয়টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন রওনা হবেন বলে জানা গেছে।বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া এ তথ্য জানান।
যদিও বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনো আদালতে যাওয়ার বিষয়টি তাদের জানানো হয়নি।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়াও বাকি পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া বাকি তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
জামিনে থাকা দুই মামলার আসামিরাও আদালতে হাজির থাকবেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।নানা কারণ দেখিয়ে মামলা দু’টির শুনানির জন্য নির্ধারিত ৬৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৫৮ কার্যদিবসই অনুপস্থিত থাকেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ধার্য তারিখ গত ১৮ জুনসহ হাজির হয়েছেন মাত্র ১০ দিন।দীর্ঘদিন ধরে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। গত ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।