যেন মৌমাছিদের বাড়ি

গোলাম মোস্তফা: উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কামাড়শোন গ্রামের আজিজুর রহমানের বাড়িতে একটি গাছের ডালে-ডালে শোভা পাচ্ছে মৌমাছির বাসা। এ বাড়ির দোতলা ভবনের জানালার কার্নিশ, বেলকুনির নিচের অংশেও বাসা বেঁধে আছে মৌমাছি।
আজিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘ এক যুগ ধরে তার বাড়িতে মৌমাছি বাসা বেঁধে আছে। দৃষ্টিনন্দন মৌচাক দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও লোকজন আসেন। অনেকে বাড়িটি মৌমাছির বাড়ি হিসেবেই চিনে থাকেন। প্রভাষক মো. ওবায়দুল হোসাইন বলেন, তাড়াশ পৌর শহর থেকে তিনি স্ব-পরিবারে এসেছেন মৌমাছি দেখতে। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, আজিজুর রহমানের বাড়ির ভেতরে একটি জাম্বুরা গাছের ডালে ছোট-বড় ১২টি মৌমাছির বাসা। বাড়িতে প্রবেশ পথের বামের বেলকুনির নিচে কাছাকাছি স্থানে রয়েছে আরো তিনটি মৌমাছির বাসা। পাকা বাড়ির প্রতিটি জানালার কার্নিশেও বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তাকে বলেন, মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে বাড়িতে-বাড়িতে ও বন-জঙ্গলে মৌমাছির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this:

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD