তাড়াশে মাদকাসক্ত ও ব্র্যাক এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ভ্যান চালকের আত্মহত্যা

Spread the love

শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ : তাড়াশে ব্রাকসহ বিভিন্ন এনজিওদের কিস্তির টাকা শোধ করতে না পেরে বাড়ী থেকে পালিয়েও পার পাচ্ছে না পরে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। তাড়াশে ও আবার দেখা গেল সেই ভয়াবহ চিত্র। বারবার কিস্তির চাপে বাধ্য হয়ে ভ্যান চালক যুবক শুক্রবার ভোররাতে তাড়াশ উপজেলার পৌর সদরের আসানবাড়ি গ্রামের সাজু আহমেদ এর ছেলে জাকারিয়া হোসেন গাছের সাথে রশি পেচিয়ে ও (২৮ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে ওই ভ্যান চালকের নিজ ঘরে আতœহত্যা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হাবিবুল্লাহ ও তাড়াশ সদর ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সোলায়মান আলী। তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হাবিবুল্লাহ পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, আসানবাড়ি গ্রামের যুবক জাকারিয়া হোসেন মাদকাসক্ত ছিল। গতরাতে তার মায়ের কাছে টাকা চাইলে তার মা ১শ টাকা দেন। পরে আরো টাকা দাবী করে। তার চাহিদামত টাকা না পেয়ে রাতে ৯টার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। শুক্রবার বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে তার মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহের সুরতহাল তৈরি করা হচ্ছে ও মরদেহ উদ্ধারের প্রস্ততি চলছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ব্রাক এনজিও’র কিস্তির টাকা পরিশোধ না করতে পেরে জাকির হোসেন শেখ (২৭) নামের এক ভ্যান চালক গলায় রশি পেচিয়ে আতœহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে ওই ভ্যান চালকের নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ সদর ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সোলায়মান আলী। এ দিকে ঘটনাস্থলে থাকা তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হাবিবুল্লাহ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জানান, আমরাও ঘটনাস্থলে এসে লোকজনের কাছে থেকে জানতে পেরেছি কিস্তির টাকা দিতে না পারার কারণে তিনি আতœহত্যা করে থাকতে পারেন। আর তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস শেখের ছেলে ভ্যান চালক জাকির হোসেন একটি এনজিও থেকে কিছুদিন পূর্বে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন। তারপর তিনি রিক্সা চালাতে ঢাকায় চলে যান। পরে জাকির হোসেন গত মঙ্গলবার বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ওই এনজিও’র লোকজন তার কাছে কিস্তি আদায়ের জন্য আসেন এবং তারা কিস্তির টাকার জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন। পরে এনজিও’র লোকজন জাকিরকে বিকেলের মধ্যে কিস্তি টাকা পরিশোধের সময় বেধে দিয়ে চলে যান। পরে ওই লোকজন চলে গেলে বিকালে সবার অগোচরে ভ্যান চালক জাকির নিজ ঘরে দরজা আটকিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে আতœহত্যা করেন। এ সময় তার স্ত্রী সস্তান বাড়িতে ছিলেন না । বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান ঘরের ধরনার সাথে গলায় রশি পেচানো জাকিরের লাশ ঝুলছে। পরে স্থানীয়রা তাড়াশ থানা পুলিশকে খবর দেয়।এ ব্যাপারে তাড়াশ ব্র্যাক অফিসের নম্বরে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নাই। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক জানান, আতœহত্যার খবর পেয়ে থানার ওসি তদন্তকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD