স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শেখ পাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবই আছে। নেই শুধু যাতায়াতের জন্য রাস্তা। ১৯৮৮ সালে উপজেলার প্রত্যন্ত হামকুরিয়া গ্রামে এ বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও যাতায়াতের রাস্তা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে অনেকটা পথ আবাদি জমির সরু আইল আর আর ডোবা-নালার পাড় দিয়ে যাতায়াত করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বর্ষাকালে নৌকাই যাদের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গেলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভ হাসান, ছানি আহমেদ, ওলি উল্লাহ, ইয়াছিন আলী, সুরাইয়া পারভিন, রুপালি পারভিন, জুই খাতুন, জেসমিনা খাতুনসহ আরও অনেকে জানায়, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে তাদের বিদ্যালয়। এতটা পথ সরু আইল আর ডোবা-নালার পাড় দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে। মাঝে মধ্যেই পা ফসকে কাঁদা পানিতে পড়ে বই-খাতা নষ্ট হয়। পড়নের পোশাকও ভিজে যায়। যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় তাদের খুব কষ্ট হয়! শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, বর্ষা মৌসুমে তারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় বিল পারি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। ওই সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনেক বাবা-মা তাদের বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেন। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলজিইডি’র মাধ্যমে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক থেকে শেখ পাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা করার চেষ্টা করা হবে।
