লাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা

Spread the love

গোলাম মোস্তফা : চলনবিলস্থ তাড়াশ উপজেলার ৩নং লাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও শ্রেণি কক্ষের অভাবে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বেহাল অবস্থা দেখে অনেক অভিভাবকই তাদের শিশু সন্তানদের বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ রেখেছেন। অনেকে বিদ্যালয় বাদ দিয়ে কিল্ডার গার্টেনে ভর্তি করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত। সেই সময় তালপাতার বেড়া আর খড়ের চালের ২কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘরে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান হত। এরপর ১৯৮০ সালের দিকে লাউতা গ্রামবাসীর দান-অনুদানে সেখানে একটি ইটের দেয়াল আর টিনের বেড়ার ভবন গড়ে ওঠে। বর্তমানে ওই ভবনটি পরিত্যক্ত। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ফ্যাসালিটিজ বিভাগ ৩কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে দেয়। বর্তমানে সেই ভবনেরও দেয়াল ও ছাদে ফাটল ধরেছে।

শিক্ষার্থী বন্যা খাতুন, রিতু খাতুন,  আলামিন হোসেন, মনির হোসেন, সুমন সরকারসহ অনেকে জানায়, বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবেনর ১টি ছোট ও ১টি মাঝারি শেণিকক্ষে চলছে তাদের পাঠদান। স্থান স্বল্পতায় গাদাগাদি করে বসতে হয়। মাঝখানে সুবিধামত বইখাতা রাখার জায়গা পর্যন্ত নাই। হাঁটা-চলাও অত্যন্ত মুশকিল। এভাবে তাদের পড়ালেখায় মনযোগের চরম অভাব ঘটে। এ ব্যাপারে  প্রধান শিক্ষক মোছা. সেলিনা খাতুন জানান, বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষ সংকট তো রয়েছেই। ৫ জনের স্থলে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২ জন। ১ জন ডিপিয়েট প্রশিক্ষণে আছেন দের বছরেরও বেশি সময়। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তাকে বলেন, ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ৩নং লাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক সংকটের বিষয়টিও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। আশা করা যায় এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD