সোহেল রানা সোহাগ : বেগুন চাষে ব্যতিক্রম সাফল্য লাভ করেছেন চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম গ্রামের কৃষক আবু তাহের। তিনি এ বছর উন্নত দেশি জাতের বেগুন চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। আবু তাহের তার দেড় বিঘা পতিত জমিতে ফাপা জাতের বেগুন চাষ করে দারিদ্র মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন।।
বেগুন চাষি আবু তাহের জানান, প্রথমে সে বগুড়া জেলার শেরপুরে এক কৃষকের বেগুন চাষ দেখে নিজেও বাড়ির পাশের পতিত জমিতে বেগুন চাষ করার স্বপ্ন দেখে। পরে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতা নিয়ে দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে দেশি উন্নত জাতের (ফাপা) বেগুনের চাষ করেন। এখন তার জমিতে বেগুনের ফলন ফলে থোকায় থোকায়। বাজারে অন্যদের বেগুনের তুলনায় তার বিষমুক্ত বেগুনের চাহিদাও প্রচুর।
তিনি আরো জানান, দেড় বিঘা জমির বেগুন চাষ থেকে এ পযর্ন্ত তিনি দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। সামনে আরো ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। সপ্তাহে তিনি ক্ষেত থেকে দুই বারে ২৫/৩০ মন করে বেগুন সংগ্রহ থাকেন। এবার মৌসুমের শুরুতে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা মন দরে পাইকারী বিক্রি করেছেন। পাইকাররা বাড়িতে এসে বেগুন কিনে নেন, তাকে হাটে যেতে হয় না। তবে বর্তমানে বেগুনের বাজার কম থাকায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় প্রতিমন বেগুন বিক্রি হচ্ছে। তার দেখা দেখি বর্তমানে এই এলাকার অনেক কৃষক বেগুন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। স্থানীয় এক কৃষক আবু তালেব মেম্বর বলেন, আবু তাহেরের বেগুন চাষে সফলতা পেয়েছেন। আমরা জমিতে ধান চাষ করে বছরে যে টাকা আয় করি তার চেয়ে বেগুন চাষে অধিক লাভ করা সম্ভব। তাই আমরা সামনের বছর থেকে বেগুন চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আল-অমিন হোসেন বলেন, আবু তাহের বগুড়া জেলার শেরপুরে এক কৃষকের বেগুন চাষ দেখে আমার কাছে পরামার্শ নিয়ে ছিল। আমি তাকে বেগুন চাষে সার্বিক সহযোগীতা করি। এখন তিনি একজন সফল বেগুন চাষি। তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেকেই বেগুন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এর ফলে শুধু তাহেরের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে তাই নয়; একই এলাকার অন্যান্য চাষীরাও বেগুন চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।