একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী
গাজী ম. ম আমজাদ হোসেন মিলন এর
বিশেষ সাক্ষাৎকার
ক্স সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চলনবিল বার্তার নির্বাহী সম্পাদক ঃ গোলাম মোস্তফা।
চলনবিল বার্তা ঃ এই প্রথম জাতীয় সংসদে আপনার প্রতিনিধিত্ব করার নতুন অভিজ্ঞতা বা অনূভূতি বলুন ।
মিলনঃ প্রথম সাংসদ হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সুন্দর এবং সর্বোচ্চ অনুভূতিকে নাড়া দিয়েছে। জাতীয় সংসদই একমাত্র স্থান যেখান থেকে জনসাধারণের সেবা করার সুযোগ আছে। সংসদে আসতে পেরে নিজেকেই ধন্য মনে করি। আমি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলাম। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমি দুই দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম এবং তাড়াশ উপজেলা পরিষদের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত দুই দুইবার চেয়ারম্যান ছিলাম। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন রকম কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুেেযাগ পেয়েছি।তবে আমার এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসব ভাতা সংক্রান্ত বিল মহান সংসদে উপস্থাপন করি এবং বিলটি পাস হয়ে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাগণ তার সুফল পাচ্ছে। এছাড়া সরকারিভাবে দুই বার রাশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া সফর করে নিজের দেশকে উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি।
চলনবিল বার্তা ঃ সংসদে বিগত ৪ বছরে উল্লেখযোগ্য বিষয়ে আপনার পেশ করা প্রস্তাবসমূহ যা আপনার সংসদীয় এলাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল ।
মিলনঃ আমার সময়কালে মহান জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত প্রস্তাবনা সমূহের মধ্যে পাশ হওয়া রায়গঞ্জ-তাড়াশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ ঃ
তাড়াশে পৌরসভা স্থাপন।
নিমগাছী সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্প ৬ বছরের জন্য নতুন করে অনুমোদন।
রায়গঞ্জ-তাড়াশে ৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণ।
তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এ্যাম্বুলেন্সসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন।
ব্রক্ষ্মগাছায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন।
রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রমা সেন্টার স্থাপন।
রায়গঞ্জের নলকা ও তাড়াশের হামকুড়িয়ায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন।
তাড়াশ উপজেলা কমপ্লেক্স ও আধুনিক অডিটোরিয়াম স্থাপন।
তাড়াশে চারতলা বিশিষ্ট ডিজিটাল থানা কমপ্লেক্স নির্মাণ।
তাড়াশ থানায় আধুনিক পুলিশ পিকআপ ভ্যান প্রদান।
তাড়াশে পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম অফিস এবং দুইটি অভিযোগ কেন্দ্র এবং রায়গঞ্জে ২টি অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপনসহ রায়গঞ্জ-তাড়াশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা।
তাড়াশে আবহাওয়া অফিস এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন।
তাড়াশ উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারতলা বিশিষ্ট বিল্ডিংসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ প্রদান।
তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ ও রায়গঞ্জে হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম ডিগ্রী কলেজকে অনার্স কলেজে উন্নীতকরণ।
রায়গঞ্জে ভূইয়াগাঁতী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বস্তুল ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়, বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সম্পূর্ণ ডিজিটালকরণ করা ।
রায়গঞ্জ নূরুন্নাহার তর্কবাগিস কলেজ এবং তাড়াশে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা কলেজ জাতীয়করণ করা ।
তাড়াশ থানার নওগাঁয় পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ এবং মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপন।
তাড়াশ হতে নাদোসৈয়দপুর পর্যন্ত চলনবিলের মাঝে ব্রিজ এবং সাড়ে আট কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণসহ তাড়াশ এবং রায়গঞ্জে ২‘শ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ।
তাড়াশও রায়গঞ্জের গ্রাম এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা ব্রিজ নির্মাণ।
মৎস্য ভবন ও একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প ভবন নির্মাণ।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার সকল মসজিদ, মন্দির ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোলার স্থাপন।
চলনবিল বার্তা ঃ আপনার এলাকার সমস্যা বা উন্নয়ন বিষয়ে সব কথাই সংসদে বলতে পেরেছেন বলে মনে করেন কি?
মিলন ঃ উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া যার সব এবং শেষ কথা বলে কিছু নেই।বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী আমি চেষ্টা করেছি রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মহান সংসদে উপস্থাপন করার।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে পূণরায় মহান সংসদে কথা বলার সুযোগ দান করেন তাহলে রায়গঞ্জ-তাড়াশবাসীর অসম্পূর্ণ কথা ও উন্নয়ন বিষয়গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
চলনবিল বার্তা ঃ না বলা কোন কথা বা বিষয় থাকলে এখানে তা বলতে পারেন ঃ
মিলন ঃ নাই ।
চলনবিল বার্তা ঃ আপনার আমলে বা কার্যকালে আপনার সংসদীয় এলাকায় যে সব উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কাজ করেছেন সংক্ষেপে পয়েন্ট আকারে বলুন ।
মিলন ঃ
তাড়াশ পৌরসভার কাজ শুরু হয়েছে।
নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্প ৬ বছরের জন্য নতুন করে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
রায়গঞ্জ -তাড়াশে ৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নতুন এ্যাম্বুলেন্স সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে ।
ব্রক্ষ্মগাছায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপিত হয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রমা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে ।
রায়গঞ্জের নলকা ও তাড়াশের হামকুড়িয়ায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ।
তাড়াশ উপজেলা কমপ্লেক্স ও আধুনিক অডিটোরিয়াম স্থাপন করা হয়েছে ।
তাড়াশে চারতলা বিশিষ্ট ডিজিটাল থানা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে ।
তাড়াশ থানায় আধুনিক পুলিশ পিকআপ ভ্যান প্রদান করা হয়েছে ।
তাড়াশে পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম অফিস এবং দুইটি অভিযোগ কেন্দ্র এবং রায়গঞ্জে ২টি অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপনসহ রায়গঞ্জ-তাড়াশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।
তাড়াশে আবহাওয়া অফিস এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে ।
তাড়াশ উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়েছে।
তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ ও রায়গঞ্জে হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম ডিগ্রী কলেজকে অনার্স কলেজে উন্নীত করা হয়েছে।
রায়গঞ্জে ভূইয়াগাঁতী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বস্তুল ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়, বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সম্পূর্ণ ডিজিটালকরণ করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ নূরুন্নাহার তর্কবাগিস কলেজ এবং তাড়াশের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা আইডিয়াল কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে।
তাড়াশ থানার নওগাঁয় পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ এবং মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপিত হয়েছে।
তাড়াশ হইতে নাদোসৈয়দপুর পর্যন্ত চলনবিলের মাঝে ব্রিজ এবং সাড়ে আট কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণসহ তাড়াশ এবং রায়গঞ্জে ২০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে ।
তাড়াশ রায়গঞ্জে গ্রাম এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে ।
মৎস্য ভবন ও একটি বাড়ী একটি কামার প্রকল্প ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে ।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার সকল মসজিদ মন্দির ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোলার স্থাপন করা হয়েছে ।
চলনবিল বার্তা ঃ যে উন্নয়ন কাজগুলি আপনার লক্ষ্য বা পরিকল্পনা থাকলেও করতে পারেন নি সংক্ষেপে সে কাজগুলোর শিরোনাম বলতে পারেন ।
মিলন ঃ
রায়গঞ্জ-তাড়াশ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমগ্র উপজেলা দ’ুটিকে সম্পুর্ণ ডিজিটালকরণ।
সলঙ্গা থানাকে উপজেলায় উন্নীতকরণ।
নিমগাছীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মৎস্য ও গবেষণা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশে গ্যাস সরবরাহ করা।
চলনবিলের মাঝে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা।
শস্য ভান্ডার নামে খ্যাত চলনবিলে কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার ও বিশেষায়িত বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন।
মহিষলুটিতে মৎস্য হিমাগার ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প কারখানা স্থাপন।
ঘুড়কার তিননান্দিনা নদীতে ব্রীজ নির্মাণ।
চলনবিল বার্তা ঃ সংসদে আপনার উত্থাপিত যে প্রস্তাবটি সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষিত বা প্রশংসিত হয়েছে বলে আপনি মনে করেন ।
মিলন ঃ
ইউক্যালিপটাস গাছ যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, এই গাছ রোপণ নিষিদ্ধকরণ বিল।
মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসব ভাতা সংক্রান্ত বিল।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা ব্যাংক স্থাপন সংক্রান্ত বিল।
চলনবিল বার্তা ঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনার আসনে আবার নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে কি? থাকলে আপনার দলীয় টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু বলে মনে করেন ?
মিলন ঃ রাজনীতিতে নির্বাচন করার ইচ্ছা সকলেরই থাকে। আমি বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আমারও নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। দলীয় টিকিট বা মনোনয়ন নির্ভর করে দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। আমি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে তারই নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে এলাকার মানুষের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ১৮ বছর আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি এবং আওয়ামীলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অদ্যাবধি দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৫০ বছর যাবৎ কাজ করে আসছি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করব। তবে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।
চলনবিল বার্তা ঃ এক্ষেত্রে আপনার দলের (আ’লীগ) কেন্দ্রীয় জরীপে আপনার অবস্থান কেমন-তা জানতে পেরেছেন কি?
রায়গঞ্জ তাড়াশ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমগ্র উপজেলা দুটিকে সম্পুর্ণ ডিজিটালকরণ।সলঙ্গা থানাকে উপজেলায় উন্নীতকরণ।
নিমগাছীতেজাতির জনক বঙ্গবন্ধু মৎস্য ও গবেষণা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশে গ্যাস সরবরাহ করা।
চলনবিলের মাঝে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা।
শস্য ভান্ডার নামে খ্যাত চলনবিলে কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন ও বিশেষায়িত বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন।
মহিষলুটিতে মৎস্য হিমাগার ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পকারখানা স্থাপন।
ঘুড়কার তিননান্দিনা নদীতে ব্রীজ নির্মাণ।
মিলন ঃ আমার জানা মতে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় জরিপ একটি গোপনীয় কাজ ।তারপরেও আমি মনে করি আমার অবস্থান ভাল।
চলনবিল বার্তা ঃ তাড়াশে আপনার দলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব মিমাংসার লক্ষে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে আপনি আর কোন কার্যকরী উদ্যোগ নেবেন কি না ?
মিলন ঃ আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। এই দলে নেতা কর্মীর সংখ্যা অনেক বেশী। সংসারে সদস্য সংখ্যা বেশী থাকলে যেমন সবাইকে সমানভাবে খুশি রাখা সম্ভব হয়না, তেমনি আমার সকল নেতা-কর্মীকে সকল সময় সমানভাবে খুশি রাখতে পারছি না। তবে আমাদের মাঝে রাজননৈতিক কোন দ্বন্দ্ব নাই।
চলনবিল বার্তা ঃ সামনে অর্থাৎ আগামীতে নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে আপনার প্রথম কাজ কী হবে ?
মিলন ঃ নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে
ক) দুই উপজেলায় পৃথক পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন।
খ) তাড়াশে পৌরসভা বাস্তবায়ন
চলনবিল বার্তা ঃ আপনার রাজনৈতিক জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য বা স্বপ্নটা কি ?
মিলন ঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করা।
চলনবিল বার্তা ঃ আপনার মতে কোন রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বড় শত্রু কী বা কে এবং মিত্রই বা কে ?
মিলন ঃ আমার রাজনৈতিক কোন শত্রু নাই। এলাকার জনগন এবং দলীয় নেতা কর্মীরাই আমার মিত্র।
চলনবিল বার্তা ঃ আপনার রাজনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য তিনের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে ভবিষ্যতে কোন আত্মজীবনী লেখার পরিকল্পনা আছে কি ?
মিলন ঃ পরিকল্পনা আছে।
চলনবিল বার্তা ঃ আপনার দৃষ্টিতে তাড়াশের মূল সমস্যা, রায়গঞ্জের মূল সমস্যা ও সলংগার মূল সমস্যাগুলো কী কী ?
মিলন ঃ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকগণ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এটা একটা বড় এবং মূল সমস্যা।
চলনবিল বার্তা ঃ সে সব সমস্যা সমাধানের উপায় কিংবা পন্থা বলুন ঃ
মিলন ঃ পরবর্তিতে আমি আবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদে কথা বলার সুযোগ পেলে আমি বিষয়টি সংসদে উপস্থাপন করে সমাধানের চেষ্টা করব।
চলনবিল বার্তা ঃ সবাই বলেন, প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচন হলে তাড়াশ থেকে কোন প্রতিনিধির জয় পাওয়াটা কঠিন। সে ক্ষেত্রে আপনার ভরসাটা কী ?
মিলন ঃ আমি নির্বাচনের জয়ে আত্মবিশ্বাসী। কারণ আমি জনগণকে সাথে নিয়ে ৫০ বছর ধরে কাজ করে আসছি।
চলনবিল বার্তা ঃ আপনার কর্মবহুল জীবনের কোন্ স্বপ্নটা আজো পূরণ হয় নি ?
মিলন ঃ তাড়াশ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আমরা ৪ (চার) জন মিলে প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের স্বপ্ন ছিল- কলেজটি সরকারি হবে। কিন্তু সেই কলেজ আজ পর্যন্ত জাতীয়করণ হয় নাই।
চলনবিল বার্তা ঃ তা পূরণে আগামীতে কী উদ্যোগ নিতে চান ?
মিলন ঃ পরবর্তিতে সুযোগ আসলে অবশ্যই চেষ্টা করব যাতে কলেজটি সরকারিকরণ হয়।
চলনবিল বার্তা ঃ তাড়াশ উপজেলা পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোর তুলনায় আজো পিছিয়ে আছে । এর কারণ কি বলে মনে করেন ?
মিলন ঃ তাড়াশ উপজেলাটি চলনবিলের মাঝে অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকা এবং তাড়াশ উপজেলা হতে আমার আগে কোন এমপি না থাকা।
চলনবিল বার্তা ঃ কোন্ কাজগুলো বাস্তবায়িত হলে তাড়াশ উন্নয়ন সড়কের সঠিক গতিতে যুক্ত হবে বলে মনে করেন ।
মিলন ঃ আমি মনে করি তাড়াশ পৌরসভা বাস্তবায়নের পর তাড়াশ উন্নয়ন সড়কের সঠিক গতিতে যুক্ত হয়েছে।
চলনবিল বার্তা ঃ তাড়াশকে নিয়ে আপনার বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কি ? থাকলে বলুন । এছাড়া নবগঠিত তাড়াশ পৌরসভাকে ঘিরেই বা আপনার চিন্তা-ভাবনা কি ?
মিলন ঃ তাড়াশ আমার জন্মভ’মি, তাড়াশকে নিয়েই আমার সকল চিন্তা। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, চলনবিলের মাঝে তাড়াশে আমি শহরের সকল সুবিধা দেখতে চাই।
চলনবিল বার্তা ঃ এখন তো আপনার বিদায়ের সময় । এ মুহুর্তে আপনার করণীয় এবং ব্যস্ততার দিকগুলো বলবেন কি ?
মিলন ঃ আমি মনে করিনা আমার এখন বিদায়ের সময়। কারণ আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে আওয়ামীলীগ ও জনগনের সাথে আছি এবং শেষদিন পর্যন্ত এভাবেই চলে যেতে চাই।
চলনবিল বার্তা ঃ চলনবিল জেলা গঠন এর ইস্যুটি বা প্রস্তাবটি আপনার অবগতিতে আছে কি ? থাকলে এ বিষয়ে শীঘ্রই সংসদে কিছু কথা বলবেন কি?
মিলন ঃ বিষয়টি আমার জানা আছে এবং আমি শীগ্রই এ বিষয়ে সংসদে কথা বলব।
চলনবিল বার্তা ঃ সাক্ষাৎকার প্রদানের জন্য সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
মিলন ঃ আমি ব্যাক্তিগতভাবে, আমার পরিবার, রায়গঞ্জ-তাড়াশবাসী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে চলনবিল বার্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।