চলনবিল বার্তা ডেস্ক : চলনবিলের হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়কের তাড়াশ এলাকাধীন হামকুড়িয়া গ্রামের অদূরবর্তী ৮ ও ৯ নং ব্রীজ এবং পশ্চিম চলনবিলের কুন্দইল গ্রামের পূর্ব পার্শ্বের ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে পর্যটন কেন্দ্রের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
প্রতি বছর বিশেষত বর্ষাকালে ও ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব পালা-পার্বনে উল্লেখিত দুটি জায়গাই থাকে কৌতুহলী ও ভ্রমণ পিয়াসী মানুষের পদচারণায় মুখর তথা সরগরম। প্রতিদিন বেলা দুপুর হওয়ার আগেই উভয় স্থানে সড়কের ধার বরাবর ব্রীজের আশেপাশে দেখা যায় লোকে লোকারণ্য।শিশু, কিশোর, যুবক, যুবতী ও প্রৌঢ়, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভীড়। তারা বাস,অটো ভ্যান ,মোটর সাইকেল, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, নৌকা ইত্যাকার যানবাহনে ুটে আসছেন চলনবিলের ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে একটু বিনোদনের উদ্দেশ্যে।কারণ এই অঞ্চলের সাধারণ জনগনের আনন্দ কোলাহল উপভোগ করার তেমন উপযুক্ত স্পট ছিল না। এমনি প্রেক্ষাপটে চলনবিল ভেদ করে হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়ক নির্মাণের ফলে এবং চলনবিলের মাঝ দিয়ে তাড়াশ-গুরুদাসপুর সাবমার্জ (পানির নীচে) পাকা রাস্তা তৈরীর কারণে পর্যটনের অপূর্ব সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এমনি সহায়ক পরিবেশের আমেজে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে আর সামাজিক নানা অনুষ্ঠান উদযাপন এবং অবকাশ যাপনের জন্য লোকেরা ছুটে আসেন কুন্দইল সাইট খালের ধারে ও উক্ত মহাসড়কের ৮/৯ নং ব্রীজে। এ দুটি স্থান থেকেই বিস্তীর্ণ চলনবিলের অবারিত পানির ঢেউ ও চলন্ত জলের কেলি উপভোগ করার মত বটে। তাছাড়া বিলে পাল তোলা নৌকা, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, ইঞ্জিনচালিত নৌকার গমনাগমন, উড়ন্ত পাখীদের ঝাঁক, বক-সাড়সের মাছ শিকার, শিশুদের সাঁতার কাটা, পল্লীবধুর ¯œান করা ইত্যাদি সহ চোখ যতদূর যায় শুধু পানি আর ছোট ছোট গ্রাম দেখতে বড়ই মনমুগ্ধকর এবং দৃষ্টিনন্দন নৈসর্গিক চিত্র। এখানে এলে মনে আবেগের জোয়ার আসে। আর সেই সাথে কাব্য ও স্গংীতের ভাবোদয় ঘটে নিজের অজান্তেই মনের নিভৃত কোনে। এ স্পটগুলোতে সে সময় বিলের ধারে বসে জমে ওঠা মনোরম বাজারে পাওয়া যায় মজাদার বিচিত্র খাবার, ফাস্টফুড, খেলনা ও বিলাসিতার নানা সামগ্রী যা তরুণ-তরুণীদের মন কেড়ে নেয়। উপরোক্ত দুটি স্থানেই এখন আসছে হাজার হাজার মানুষ শুধু একটুখানি চিত্তবিনোদন ও চলনবিলের দৃশ্য উপভোগের আশায়। প্রতিদিনই বিশাল জনসমাগমে গ্রামীণ পর্যটন মেলায় পরিণত হয়েছে এই স্থানসমূহ। এখন জরুরী প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। তা হতে পারে খুবই সময় উপযোগী ও জনমানুষের আকাংখার প্রতিফলন। আশা করি এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষিত হবে সংশ্লিষ্ট মহলের।