রায়গঞ্জ প্রতিনিধি : চলনবিলের রায়গঞ্জে ভূয়া ফেসবুক আইডিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কটুক্তিমূলক পোস্ট দাতা ইয়াবা ব্যবসায়ী শামীম আজাদকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার রায়গঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ধানগড়া ইউনিয়নের ঝাপড়া পালপাড়া গ্রামের ওয়ারেছ আলীর পুত্র ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিঃষ্কৃত সহ-সভাপতি মোঃ শামীম আজাদ(৩২) দীর্ঘদিন যাবত ৩টি ভূয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আসছিল। শামীম আজাদ তার ব্যবহৃত শামীম আজাদ, বাকীবিল্লাহ আহমেদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামক ৩টি ভূয়া আইডিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শরিফ উল আলম শরিফ সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে নানামূখী বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগে তোলপাড় সৃষ্টি করে। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট বাকীবিল্লাহ আহমেদ আইডি হতে ৬ নং ধানগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুমের বিরুদ্ধে ভিজিএফ এর চাল চোর বলে আখ্যায়িত করে পোস্ট প্রদান করলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সাধারণ জনগনের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পোস্টদাতা শামীম আজাদকে ভূয়া পোস্টদাতা হিসেবে সনাক্ত করে গতকাল সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে ৬নং ধানগড়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এসে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হাতে সোপর্দ্দ করে। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক পরিষদ চত্বরে এক শালিসি বৈঠকে পোস্টদাতা শামীম আজাদ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ উদ্দিন খান উষ্কানিদাতা বলে জন সন্মুখে স্বীকার করে। কিন্তু সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন খান উপস্থিত ৩ শতাধিক নেতাকর্মীদের মাঝে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি তা অস্বীকার করেন। উল্লেখ্য, পোস্টদাতা শামীম আজাদের নামে রায়গঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। যে কারণে তাকে দল থেকে বহিঃষ্কার করা হয়।