বিশেষ প্রতিনিধি: নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নওগাঁ -৬ (আত্রাই-রাণীনগর) এর সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের বিরুদ্ধে । রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ২৭ জুলাই সন্ধায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় আন্তর্জাতিক ডরমেটরীতে অবস্থান করে এমপি ইসরাফিল বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে গোপন বৈঠক করে খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত নওগাঁ, জয়পুরহাট বগুড়ার নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকার ছাত্র শিক্ষক তথা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করে লিটনের নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করা জন্য কাজ করেন। সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ,মহানগর আওয়ামীলীগ,শ্রমিকলীগ,যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার সাথে দেখা করেন। পরের দিন সকালে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এমপি ইসরাফিল মটর সাইকেল যোগে কাজলা,বিনোদপুর এলকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে গণসংযোগ করেন। এ দিন দুপুরে রাজশাহীর ডালাস হোটেলে এমপি ইসরাফিল জাহাঙ্গীর কবির নানক, মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া রাজশাহীর রেশন কারখানার মেশিন পরিদর্শনের নাম করে তিনি সেখানকার রেস্ট হাউজে অবস্থান করে সারারাত ধরে নির্বাচণী প্রচার প্রচারণা চালান।
এ বিষয়ে এমপি ইসরাফিলের সঙ্গে অবস্থানকারী এস এম রাফি উস সাদাক Abdur Rahman Rizviসহ কয়েকজন তাদের ফেসবুকে ছবিসহ স্টেটাস দিয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারী স্থাপনা ব্যবহার করে নির্বাচণী আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে একজন এমপি কী ভাবে দলীয় মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা চালালেন তা সূধী মহলে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
এছাড়া এমপি ইসরাফিল আলমের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে তিনি খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে টাকা বিতরণ করেছেন । বিশেষ করে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে প্রচুর অর্থ বিতরণ করেন বলে বিভিন্ন গোপন সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে এমপি ইসরাফিল আলমের সঙ্গে ০১৭১১ ৮৪৮৫০৮ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফেন সেট বন্ধ পাওয়া য়ায়।