পরীক্ষামূলক সমপ্চার:
ঢাকা প্রতিবেদক: ভাড়া নির্ধারণ না করে দু’বছরের জন্য বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে পাঁচটি রুটে বাস অপারেটর নিয়োগে দেওয়া টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা তুলে নিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এ রায় দেন।
আদালতে বিআরটিসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
পরে মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্থিতাবস্থা তুলে নিয়েছেন। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বাধা নেই।
হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের আন্তজার্তিক বাস রুটে সরকার টু সরকার সম্পাদিত প্রটোকলের শর্তানুযায়ী ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে নাস্তাসহ ১১ ডলার (প্রায় ৯২০ টাকা) ভাড়া আদায়ের কথা থাকলেও সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিসহ সব বেসরকারি পরিবহন ১৭শ থেকে ২ হাজার টাকা হারে ভাড়া আদায় করছে। এতে এই রুটে প্রতিদিন যাতায়াতকারী প্রায় আট হাজার যাত্রীর স্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই বাস রুটটি চালুর পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় পরবর্তীতে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, ঢাকা-খুলনা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-শিলং-গৌহাটি-ঢাকা রুট চালু হলে এসব রুটে এসি/নন এসি বাসের ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, গত ৪ জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ৫টি রুটে অসম প্রতিযোগিতামূলকভাবে অপারেটর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ না করে এ বিজ্ঞপ্তি চলমান ভাড়া নৈরাজ্য আরো বেশি উসকে দেবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে ৫টি রুটে ১৯৯৯ সালের উভয় দেশের মধ্যে সম্পাদিত প্রটোকলের শর্তানুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
‘এর জন্য ১৩ জুলাই সরকারকে চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু সরকার তা নিষ্পত্তি