আশরাফুল ইসলাম আসিফ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের ঐতিহাসিক তালম গ্রামের বাৎসরিক মেলা। মেলায় খাজনা তুলে ৩৫ হাজার টাকা লসে মেলা কমিটি। প্রতি বছরের নেয় এবারও জাকজমক ভাবে বসেছে এই মেলা। প্রতি বছর বাংলার জৈষ্ঠ্যমাসের প্রথম শুক্রবারে ধান কাটার শেষের দিকে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বড় বড় মাছ, গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগীসহ কাঁচা বাজার বসে, যেন এ মেলায় সকল শ্রেণিপেশার মানুষ সমান ভাবে আনন্দ ভাগা ভাগি করতে পারে। মেলাতে শুধু বড়দের সমগ্রী নয়, রয়েছে ছোট বাচ্চাদের খেলার জন্য নাগরদোলা নৌকা, জাম্পিং, ট্রেনসহ অনেক কিছু। এ গ্রাম্য মেলাগুলো সরকারিভাবে একটি ডাক হয়ে মেলা কমিটির মধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসে। পায় সরকারি রাজস্ব। অনেক দুর দুর থেকে আসে বিভিন্ন দোকানি এখানে দুই দিনের দোকান দিতে। সিংড়া থানার মিষ্টি ব্যবসাহী মোঃ আব্দুর রহমান, শেরপুর থেকে আশা লিচু ব্যবসায়ী মোঃ বাবু, বামিহাল থেকে আশা কাট ব্যবসায়ী মোঃ এনামুল হক বলেন, প্রতিবারের চেয়ে এবার দোকানিদের ব্যবসা ভালো।মেলায় খাজনাও দিতে হচ্ছে খুবই কম। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তাড়াশ উপজেলায় কৃষক পেয়েছে ভালো ফসল ও ভালো দাম। তাই সকলে চাহিদার চেও কেনা কাটা করছে অনেকটাই বেশি। শুধু তাই না মেলার পরের দিন হয় বউ মেলা। এ মেলায় মেলার দিন পুরুষেরা কিনেন বাড়িতে খাবার সামগ্রী, এবং পরের দিন গ্রামের বউ এবং মেয়েরা কসমেটিকস ও চুরি মালাসহ বিভিন্ন কেনা কাটা করে। মেলা কমিটির সভাপতি মোঃ বিদুৎ সরকার বলেন, এ বছর সরকার নির্ধারিত মূল্যে খাজনা তোলা হয়েছে। মেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে অনেক দোকানদার এসেছে আমরা আশা করছি সামনে বছর আরো দোকানদার আসবে। ক্যাসিয়ার মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, সঠিক ভাবে খাজনা তুলে আমরা প্রায় ৩৫ হাজার টাকা লসে আছি। তবুও কনো দোকানদারদের জোর করা হয়নি। তালমের মেলাটি ডাক হয় জহুরুল ইসলামের নামে ভ্যাটসহ ৯৬ হাজার টাকায়। সরকারি নির্ধারিত মূল্যে খাজনা তুলে দেখা গেছে ৬১ হাজার টাকা উঠেছে।
চলনবিল বার্তা chalonbeelbarta.com