তাড়াশে ঐতিহাসিক বেহুলার মেলা

Spread the love
আশরাফুল ইসলাম আসিফ:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস  ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের বাৎসরিক বেহুলা মেলা। প্রতি বছরের নেয় এবারও জাকজমক ভাবে বসেছে এই বেহুলার মেলা। প্রতি বছর বাংলার বৈশাখের শেষ সোমাবর  ধান কাটার শেষে দিকে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বড় বড় মাছ, গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগীসহ কাঁচা বাজার বসে, যেন এ মেলায় সকল শ্রেণিপেশার মানুষ সমান ভাবে আনন্দ ভাগা ভাগি করতে পারে। মেলাতে শুধু বড়দের সমগ্রী নয়, রয়েছে ছোট বাচ্চাদের খেলার জন্য নাগরদোলা নৌকা, জাম্পিংসহ অনেক কিছু। এ গ্রাম্য মেলাগুলো সরকারিভাবে একটি ডাক হয়ে মেলা কমিটির মধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসে। পায় সরকারি রাজস্ব। অনেক দুর দুর থেকে আসে বিভিন্ন দোকানি এখানে দুই দিনের দোকান দিতে। প্রতিবারের চেয়ে এবার দোকানিদের ব্যবসা ভালো।মেলায় খাজনাও দিতে হচ্ছে খুবই কম। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তাড়াশ উপজেলায় কৃষক পেয়েছে ভালো ফসল ও ভালো দাম। তাই সকলে চাহিদার চেও কেনা কাটা করছে অনেকটাই বেশি। শুধু তাই না মেলার পরের দিন হয় বউ মেলা। এ মেলায় মেলার দিন পুরুষেরা কিনেন বাড়িতে খাবার সামগ্রী,  এবং পরের দিন গ্রামের বউ এবং মেয়েরা কসমেটিকস ও চুরি মালাসহ বিভিন্ন কেনা কাটা করে। শেরপুর থেকে আশা দই মিষ্টি ব্যবসায়ী মোঃ রাজু আহম্মেদ বলেন, এত কম খাজনা মেলায় যে হয় এই প্রথম দেখলাম। এ বিষয়ে বারুহাস যুবদলের আহ্বায়ক মেলা কমিটিন সদস্য মোঃহাফিজুর রহমান বলেন, এবার ঐতিহাসিক বেহুলার মেলায় আমরা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে খাজনা তুলেছি। বিগত বছরে নির্ধারিত মূল্যের চেও অতিরিক্ত খাজনা তোলায় ধিরে ধিরে  এই ঐতিহাসিক বেহুলার মেটাটি হারিয়ে যাওয়ার পথে বসেছিল। আমরা দলীয় ভাবে মেলাটি ডাকের মাধ্যমে আবার বসিয়েছি। আশা করছি এবার যেটুকু হয়েছে সামনেবার এর চেয়েও বড় হবে। ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, আমার মুল দল, যুব দল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাতি দল, ছাত্র দলসহ বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে মিলিত ভাবে এ মেলা পরিচালিত করছি। ক্রেতা ও বিক্রেতারাদের যেন কোন সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখছি।
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD