ভাঙ্গুড়ায় থেমে নেই ইউপি সচিরেব বড়াল নদী দখল

Spread the love

ভাঙ্গুড়ায় থেমে নেই ইউপি সচিরেব বড়াল নদী দখল

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: ‘নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ’- জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের জাতীয় স্লোগান হলেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বড়াল নদী দখল করে সরকারি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের চলছে গাইড ওয়াল নিমাণের কাজ। থেমে নেই বড়াল নদী এই অবৈধ দখল। পাশেরই তার নতুন ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের টলটলি পাড়া এলাকায় বড়াল নদী দখল করে মোতাহার হোসেন নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এ নির্মাণ কাজ করছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বিএলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত। সরকারি কর্মকর্তার নদী দখলের এমন কান্ডজ্ঞান দেখে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সম্প্রতি স্থানীয়দের অভিযোগে সরেজমিন পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলি পাড়া বড়াল নদী এলাকায় দেখা গেছে, বিএলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোতাহার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বড়াল নদী দখল করে গাইড ওয়াল নির্মাণ করছেন। পাশেই নতুন ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তিনি পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলি পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা ও ওই মহল্লার মৃত তোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বেশ খানিকটা দখল করে কয়েকজন শ্রমিক রড় সিমেন্ট দিয়ে ভিত দিয়ে ৪টি পিলারের নিচের অংশ ঢালাইয়ে কাজ শেষ করে আবার উপরের অংশের কাজ করছেন। এর আগে নদীর কিছু অংশ মাটি ফেলে ভরাট করেছেন। নদী দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কেউ মুখ খুলতে রাজি হন নি। নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্মাণকারিরা শ্রমিক বলেন. এবিয়য়ে তারা কিছুই জানেন না। অথচ কিছুদিন পূর্বে ওই নদীর অপর পাড়ে উপজেলা প্রশাসনের দফায় দফায় নিষেধ আমন্য করে নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করেছিলেন । তখন উপজেলা প্রশাসন দফায় দফায় নিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ ভবন গুড়িয়ে দিয়েছিলেন । তার কিছুদিন পরেই তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে কিভাবে নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন এমন প্রশ্ন স্থানীয় জনতার মুখে মুখে।

বড়াল দখলের বিষয়ে বিএলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ভবনের মালিক মোতাহার হোসেন বলেন,‘আগে ইউএনও স্যারের নিষেধে কাজ কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলাম, আবার শুরু করেছি। অনেকেই তো নদী দখল করেছে তাই আমিও নদী দখল করেছি। তাতে আপনাদের কি? আপনাদের যা করার তা করেন গিয়ে। আপনি একজন সচেতন মানুষ হয়ে কিভাবে নদী দখল করেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি অসচেতন আপনাদের কোনো সমস্যা আছে ?’

এবিষয়ে চাটমোহর বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান,নদী দখল করে নির্মিত ভবন অতিদ্রুত ভেঙ্গে দিয়ে নদী দখল মুক্ত করে নদী দখলবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও  উপজেলা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, পূর্বেও তাকে নদী দখল থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। নদী দখলের কারো সুযোগ নেই। আবারো লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this:

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD