ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ে চুক্তি হওয়ার ৪১ বছর পর তা বাস্তবায়ন হলেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কোনো কৃতিত্ব দেখছেন না বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি মনে করছেন, এটা সরকারের একটা ডিউটি মাত্র। এর জন্য ধন্যবাদ যদি জানাতে হয় তাহলে মোদি সরকারকেই জানাতে হবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন রিপন। বেলা ১১টায় এই সম্মেলনের প্রথম সেশন শুরু হয়। প্রথম সেশনে ফ্রন্ট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। প্রস্তাবনা পত্রে ছিটমহল সমস্যার সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান রিপন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালে ছিটমহল চুক্তি হয়েছিল। ৪১ বছর পর তা বাস্তবায়ন হয়েছে। এর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর কিছু নেই। ধন্যবাদ যদি জানানো হয় তাহলে মোদী সরকারকেই জানাতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘উপমহাদেশে চীনের প্রভাবকে রোধ করতে ভারতের কংগ্রেস সরকার তার প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখতো। এখন মোদি সরকারও যতটুকু সম্ভব সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে তারা নানা প্যাকেজ প্রোগ্রাম নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে ৪১ বছরের পুরোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এরজন্য ধন্যবাদ তার প্রাপ্য। এখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো কৃতিত্ব নেই, এটা সরকারের একটা ডিউটি মাত্র।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে ভারত সব সময় নিয়েছে, কখনো কোনো কিছু দেয়নি। এই সরকার হচ্ছে দেয়ার সরকার, কোনো কিছু আদায় করার সামর্থ তার নাই। ভারত আমাদের নৌ-রুট ব্যবহার করবে, ভারতের ভারী ভারী ট্রাক আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে শুল্ক নেব না, তাদের ছাড় দিয়ে যাবো। বাহ্, কি সভ্য জাতি আমরা!’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নান, মহাসচিব এম এ মতিন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব স. উ. ম আব্দুস সামাদ, সাইফুদ্দিন আল হাসানী মাইজভাণ্ডারীসহ সংগঠনের অন্যান্য প্রেসিডিয়াম সদস্যরা।