বিশেষ প্রতিনিধিঃ
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাতে। বিশেষ করে, শিশুরা এ রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। বিগত তিন দিনে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৪ জন ডায়েরিয়ার রোগী। বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও অনেকেই। প্রতিদিনই ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র।
দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মাজেদ বলেন, বৃহস্পতিবার জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১১ জন ডায়রিয়ার রোগী। ৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।এদিকে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাপ প্রবাহের জন্য এক বিশেষ জনস্বাস্থ্য বার্তায় বলা হয়েছে, “তীব্র গরমে মাথা ব্যাথা, জ্বর, মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাবসহ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে দ্রæত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অথবা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে। ”সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ৪ জন শিশু। এছাড়াও পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে আরও বেশ কয়েকজন ডায়রিয়ার রোগীর চিকিৎসা চলছে।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ঘর গ্রামের রবিউল করিমের স্ত্রী বিলকিছ খাতুন বলেন, তার ২ বছরের ছেলে মেহেদী হাসানের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমি হতে থাকে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রতাব গ্রামের সবুজ হোসেনের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, তার মেয়ে সুমাইয়া (১১) মারাত্মক ডায়রিয়ার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, গরমে পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপদ খাবার পানি পান করতে হবে। সহজলভ্য মৌসুমী রসালো ফলমূল খেতে হবে। বাইরের খোলা খাবার না খাওয়াই ভালো। বাড়িতেও বাঁসি খাবার পরিহার করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে রোদে যাওয়ার দরকার নাই।এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রমিজুল ইসলাম বলেন, শিশুদের ছাঁয়ায় ও খোলা বাতাসে রাখতে হবে। ভ্যাপসা গরমে ঘরের মধ্যে রাখা ঠিক হবেনা। এতে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়রিয়া বন্ধ হওয়ার পর শিশুকে এক বেলা বেশি খাবার দিতে হবে। তাতে শরীরের ঘাটতি পুরণে সহায়ক হবে।