ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:ভাঙ্
সরেজমিন বিদ্যালয়টিতে দেখা গেছে, চরভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরভাঙ্গুড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুটি পাশাপাশি অবস্থিত। দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও সমাবেশের জন্য একই মাঠ ব্যবহার করে আসছে শুরু থেকেই। পাশাপাশি বিদ্যালয় দুটির সামনে বিশাল মাঠ রয়েছে। মাঠের দক্ষিণ পূর্ব দিকে রয়েছে ‘৫২ সালের ভাষা শহীদদের জন্য শ্রদ্ধা নিবেদনের নির্মিত একটি শহীদ মিনার। পাশাপাশি তিনটি স্তম্ভ থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে দুইটি স্তম্ভ। একটি স্তম্ভ ভেঙ্গে নিঃশ্চিহ্ন হয়েছে। অপর একটি স্তম্ভের কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। শহীদ মিনারের পাদদেশে রয়েছে অযত্নে আর অবহেলায়। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।অনুসন্ধনে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের মাঠ চত্বরে শহীদ মিনার অনেক পূর্বে লোহা দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে বছর দুই হলো শহীদ মিনার টির একটি স্তম্ভ ভেঙ্গে নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ভাঙ্গা শহীদ মিনারেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষক ও কমল মতি শিক্ষার্থী। ভাঙ্গা শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে উদ্বেগের জন্ম নিলেও বিষয়টি প্রধান শিক্ষকদের মনে দাগ কাটতে পারে নি। এভাবেই পড়ে আছে বছরের পর বছর।
স্কুল মাঠে ঘুরতে আসা চরভাঙ্গুড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের পাশের বাসিন্দা শারমিন আক্তার জানান, তিনি গত বছর ভাঙ্গা শহীদ মিনারেই ফুল দিয়েছেন। শহীদ মিনার ভাঙ্গা অবস্থাতেই দেখছেন দীর্ঘদিন । বাংলা ভাষা প্রেমীদের অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারটি ভাঙ্গা অবস্থায় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে চরভাঙ্গুড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান ’বলেন, কিছুদিন পূর্বে রাতের আঁধারে কে বা কারা শহীদ মিনারের একটি স্তম্ভ ভেঙ্গে ফেলে রেখে ছিল। পরে তিনি শহীদ মিনারের ওই অংশটি ঘরে উঠিয়ে রেখেছেন। তবে উর্ধ্বতন কাউকে কিছু জানানো হয় নি।এ ব্যপারে চরভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম লেবু শহীদ মিনারটি অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে স্বীকার করে জানান, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় তা সংস্কার করা যাচ্ছে না। কিন্তু বিদ্যালয়ের বাৎসরিক বরাদ্দ স্লিপের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সরকারি বরাদ্দের টাকা পয়ষট্টি হাজার প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলে শহীদ মিনার সংষ্কারে তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. হাসান আলী বলেন, বিষয়টি সম্পকে তিনি অবগত নন। ওই বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার যদি ভাঙ্গা থাকে তাহলে আগামীতে মেড়ামত করানোর ব্যবস্থা করা হবে ।এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘শহীদ মিনারটিসংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।