২০১৪ সালের আর্থিক লেনদেনের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২২টি রাজনৈতিক দল।
আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ নয়টি দল নির্ধারিত সময় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা জমা দিতে পারছে না জানিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩১টি দলের সাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব আবদুল অদুদ। এর মধ্যে ২২টি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়ে তা পেয়েছে।
বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, এলডিপি, বিএনএফসহ আটটি দলের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ইসির উপ সচিব।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগকে এক মাস সময় দেওয়ায় বাকি দলগুলোকে একই সুযোগ দেওয়া হতে পারে। রোববারের পর এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
পরপর তিন বছর বার্ষিক আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে ইসি। গত দু’বছর নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা না দিয়ে গণফ্রন্ট এবার ঝুঁকিতে ছিল।
“২৯ জুলাই গণফ্রন্ট আয়-ব্যয়ের জমা দিয়েছে,” বলেন অদুদ।
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।
তখন নিবন্ধন পেলেও পরে আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে বাতিল হয় ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধনও।