যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র কেপলার টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে পৃথিবীসদৃশ নতুন একটি গ্রহ। এর সঙ্গে পৃথিবীর এতই মিল যে, বিজ্ঞানীরা একে আখ্যায়িত করছেন ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’ হিসেবে। বিশেষ করে পৃথিবী ও কেপলার-৪৫২বি নামের ওই গ্রহটি প্রায় সমান দূরত্বে থেকে নিজ নিজ সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে। তবে কেপলার-৪৫২বির ব্যাসার্ধ পৃথিবীর তুলনায় ৬০ শতাংশ বড়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ‘পৃথিবীসদৃশ’ গ্রহটি হচ্ছে কেপলার-৪৫২বি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ ধরনের গ্রহগুলো নিয়ে জ্যোতির্বিদরা খুবই আগ্রহী। কেননা, এ গ্রহগুলোর পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার মতো উপযোগী হতে পারে। এর ফলে সেখানে থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। নাসার বিজ্ঞান-প্রধান জন গ্রুন্সফেল্ড কেপলার-৪৫২বি’কে বলছেন ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’। পৃথিবীর সঙ্গে সদৃশ গ্রহগুলোর মধ্যে এটিই তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে। তবে এর দূরত্ব একেবারে কম নয়। পৃথিবী থেকে গ্রহটির দূরত্ব প্রায় ১৪০০ আলোক-বর্ষ! এর আগে কেপলার-১৮৬এফ নামের একটি গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর অনেক মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। কেপলার-১৮৬এফ আকারে নতুন সন্ধান পাওয়া গ্রহটির চেয়ে ছোট। এটির সূর্য আমাদের সূর্যের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক ঠাণ্ডা। অপরদিকে নতুন সন্ধান পাওয়া কেপলার-৪৫২বি’র সূর্য ও আমাদের সূর্য একই গোত্রের। আমাদের সূর্যের তুলনায় ওই সূর্য মাত্র ৪ শতাংশ বড় ও ১০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল। কেপলার-৪৫২বি নিজ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৮৫ দিন, যা পৃথিবীর প্রদক্ষিণকালের চেয়ে মাত্র ৫ শতাংশ দীর্ঘ। গ্রহটির ভর এখনও নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও, আমাদের গ্রহের চেয়ে ৫ গুণ বেশি হতে পারে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। যদি গ্রহটি পর্বতসমৃদ্ধ হয়, তাহলে সেখানে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থাকতে পারে। এর মহাকর্ষ আমাদের পৃথিবীর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
