স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেশীগ্রাম-গুড়পিপুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে এলজিএসপি প্রকল্পের টাকায় আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আইন ভেঙে ব্যক্তিগত কাজে ব্যাবহারের জন্য ওই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
প্রকল্প তালিকা সূত্রে জানা গেছে, এলজিএসপি-৩, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভোগলমান ওমর আলীর বাড়ির পাকা রাস্তা হতে আব্দুল মান্নানের বাড়ি পর্যন্ত ওই রাস্তা নির্মানের জন্য চার লাখ টাকা বরাদ্দ নেয় চেয়ারম্যান। বাস্তবায়নকাল ২০১৮-১৯।
সরেজমিনে জানা যায়, আব্দুল মান্নান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের সহদর ভাই। চেয়ারম্যান বাড়ির পাশেই তার বাড়ি। শুধু তাই নয়, কাগজে কলমে আব্দুল মান্নানের বাড়ি পর্যন্ত দেখানো হলেও মূলত ওই আরসিসি ঢালাই রাস্তাটি চেয়ারম্যানের বাড়ির উঠান পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে রাস্তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ২০০ ফুটের বেশি নয়। সামান্য রাস্তা নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ কিভাবে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন আছে । চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, রাস্তাটি তার বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই। তবে ওই রাস্তা দিয়ে আশপাশের লোকজনও যাতায়াত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এলজিএসপি প্রকল্পের সভাপতি ইফ্ফাত জাহান ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে এই এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় তালম ইউনিয়নের কুন্দাশন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিলিং ফ্যান সরবরাহ বাবদ তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেখা যায়। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল যোগাযোগ করা হলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, অদ্যাবধি এধরণের কোনো অনুদান আমরা পাইনি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জানান, মালামাল কিনে চৌকিদার মালফত খবর দেয়া হয়েছে। হয়তোবা সে ঠিক মতো খবর পৌছায়নি।