সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে গতবছর ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সেতু থেকে ৪ হাজার ৯শ ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে।’ সেই সঙ্গে নির্মাণ সহযোগী সংস্থাগুলোর ঋণ ২০৩৪ সালের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৯৮ সালে শেষ হওয়া এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অন্যদিকে এ পর্যন্ত সেতুর টোল বাবদ আদায় হয়েছে ৪৯৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আদায় হওয়া অর্থ থেকে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ কাজসহ সেতু কর্তৃপক্ষের অন্য আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের পর এ সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর ঋণ পরিশোধ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় অ্যামোরটাইজেশন শিডিউল অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো থেকে গৃহীত ঋণ সেতু থেকে আদায় করা টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।’
মন্ত্রী জানান, ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে টোল আদায় হয় ৯৯ লাখ টাকা, ৯৮-৯৯ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ৬১ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ৯৯-২০০০ অর্থ বছরে ৬৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ২০০০-০১ অর্থ বছরে ৮২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ২০০১-০২ অর্থ বছরে ৯৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, ২০০২-০৩ অর্থ বছরে ১০৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে ১৩১ কোটি ৮ লাখ টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে ১৫২ কোটি টাকা, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ১৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে ১৭৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ২০১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ২১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ২৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ২০১০-১১ অর্থ বছরে ২৬৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ৩২৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৩২৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩৫১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৪৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৫৪৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২৮৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা।