রাকিবুল ইসলাম, সিংড়া প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় টার্কি মুরগী পালনে ঝুকছে বেকার যুবকরা। পৌর সদর ও উপজেলার বিভিন্ন মহল্লা-গ্রামে টার্কি পালন করা হচ্ছে। টার্কি মুরগী পালনে স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বেকারদের জন্য। মূলত বেকারত্ব দূরীকরণে অন্যতম কাজ হিসেবে সিংড়ার আরিফুল, মানিক, রাসেলসহ অর্ধশত যুবকরা ঝুকে পড়ছেন এ মুরগী পালনে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের উত্তর দমদমা মহল্লায় টার্কি চাষ করছেন আব্দুল করিম ও ফেরদৌস রহমান নামে দুই যুবক। চার মাস আগে পালনের সিদ্ধান্ত নেন তারা। অনলাইন থেকে তথ্য নিয়ে এবং যাদের খামার রয়েছে সেসব খামার পরিদর্শন করে নিজেরা টার্কি মুরগী পালন শুরু করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজ বাড়ির আঙিনায় টিনশেডের ঘর করে টার্কি পালন করছেন। বর্তমানে তাদের খামারে ৬৩টি টার্কি রয়েছে। টার্কির পরিচর্যা করছেন আব্দুল করিম ও ফেরদৌস। আব্দুল করিম ও ফেরদৌস জানান, প্রথমে শখের বশে শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম ,এই মুরগী পালন করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তারপর থেকে দু’বন্ধু পুরোদমে শুরু করি। টার্কি ৬ মাস বয়স হলে ডিম দেয়া শুরু করে। একটানা নয় মাস ডিম দেয়। ১০ মাস বয়সের মুরগী ৫-৭ কেজি এবং মোরগ ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। এক মাস বয়সী বাচ্চা তারা ৫০০ টাকা পিস কিনে শুরু করেন। ভবিষ্যতে তারা টার্কির ডিম সংরক্ষণ করে বাচ্চা ফুটিয়ে খামার সংখ্যা বাড়ানোসহ এলাকার চাহিদা মেটাতে কাজ করবেন বলে জানান।
তারা আরো জানান, মুরগী পালনে স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বেকারদের জন্য। এ মুরগী গরমে ভালো থাকে, ঘুম পারে, দিনে দু’বার খাবার দেয়া হয়। মাঝে মাঝে এসব মুরগী ডাকে। বাজারে বিক্রি হয় চার শত টাকা কেজি। ভবিষ্যৎ লাভবান হলে ব্যবসার পরিধি বাড়াবেন। তাদের খামারে ৪০টি মুরগী, ২৩টি মোরগ রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার রনবাঘাতে টার্কির বড় খামার রয়েছে। বগুড়ায় হ্যাচারী থেকে অনেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে পালন শুরু করেছেন। গাছ,লতা,পাতা, ভাত,গম সব রকম খাবার খায় টার্কি। তবে আলাদাভাবে ফিড দেয়া হয়। এই মুরগীর মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ তালুকদার জানান, সিংড়ায় টার্কি পালনের জন্য তারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তাছাড়া আগ্রহী যুবকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
