সনজু কাদের : সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, কাজিপুর, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি ভাবে প্রায় ৩২ হেক্টর পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। এতে এলাকার ৫১০ জন সুফলভোগী সরাসরি সুফলভোগ করছেন এবং তাদের কর্ম সংস্থান হয়েছে। পুকুর গুলো বেশির ভাগই ছিল পাড় ভাঙ্গা এবং হজামজা। ফলে মাছ চাষ কম হত। পুকুর গুলো পূনঃখননের ফলে সেখানে সারা বছর পানি ধরে রেখে মাছ চাষ করা সম্ভব হবে এবং প্রতি বছর ১৬০ মেঃটন মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। সুফলভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ব্যাপক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মৎস্য অধিদপ্তর তথ্য সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার শীতলাই পুকুর পুন:খনন বাবদ বরাদ্দ ২৩ লাখ টাকা,টাটগাড়ী খাস পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৮ লাখ টাকা,ঘোড়াধাপ পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা,সোনাই পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা,জসাই দিঘী পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা, সোনাকানি পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা,দক্ষিন কাইটা পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা, বাহির পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা,কুমিরা পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা,জিতার পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা,তানঘরিয়া পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১২ লাখ ৪২ হাজার টাকা,আনঘরিয়া পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা,জয়সাগর পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
উল্লাপাড়া উপজেলার গাবতলা পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা,নয়ন দহ জলা:পুন:খনন বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা,কাকন দাস পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা,হাট খোলা পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর খাস পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা,গাড়াদহ বাজার পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা,ভায়া বিশ্বাস পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
কাজিপুর উপজেলার পারুল কান্দি মরা নদী পুন:খনন বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কওমি জুটমিল অডিটরিয়াম সংলগ্ন পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ১০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা,কওমি জুটমিল গুদাম পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও কওমি জুটমিল পানির ট্যাংক পুকুর পুন:খনন বরাদ্দ ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। পুকুর গুলো পূনঃখননের ফলে ১৬০ মেঃটন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ওই ৩২ হেক্টর জলাশয়ে যথাযথ ভাবে মাছ চাষ শুরু করেছে সুফলভোগীরা। এলাকার ৫১০ জন সুফলভোগী এখন সুফল পেতে শুরু করেছেন। সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদপ্তর, তাড়াশ,উল্লাপাড়া,শাহজাদপুর,কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য অফিস ওই প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করেছেন।
সুফলভোগীরা জানান, পুকুর গুলোর পাড় ভাঙ্গা ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাছ চাষ হতো না। বর্তমান সরকার পুকুর গুলো পুনঃখনন করে দেওয়ায় এখন অনেক মাছ উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের কর্ম সংস্থান হয়েছে। আমরা খুবই খুশি।