চলনবিল বার্তা ডেস্ক : চলনবিলের দশটি গ্রামীণ উপজেলার মধ্যে তাড়াশ সবচেয়ে পশ্চাদপদ অনুন্নত। শিক্ষা সাহিত্য,সংস্কৃতি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য কোন ক্ষেত্রেই পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর সাথে তুলনীয় নয়। মোট কথা সার্বিক উন্নয়নে তাড়াশ কোনভাবেই প্রতিবেশী জনপদগুলোর সাথে তাল মেলাতে পারছে না। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সারা দেশের ২৭১ কলেজ সরকারী করণের ঘোষণা এল। সিরাজগঞ্জের ৩টি কলেজের মধ্যে রায়গঞ্জ স্থান পেল। অথচ সংর্কীণ অর্ন্তদ্বন্দ্ব তথা ঠেলাঠেলির কারণে তাড়াশ উপজেলার কলেজ জাতীয় করণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হল। এই বঞ্চনার মূলে রয়েছে পারস্পারিক পরশ্রীকারতা,গোঁড়ামী ও রাজনৈতিক ক্ষমতার উম্মাদনা। নিজস্ব ব্যক্তিগত দর্শন ও কৃতিত্ব জাহিরেরও মতলব ছিল। এই সংকট ও সমস্যা জটিলতার রূপ নিয়ে অবশেষে মামলা মোকাদ্দমায় উপনীত হয়েছে বলে জানা যায়। অথচ এলাকাবাসী দলবাজী মামলাবাজী দেখতে চায় না। তারা চায় যৌক্তিক ও বিবেক বিচার সম্মত বিধিবিধানপন্থী নিয়মকানুন অনুবর্তী সমাধান। তাড়াশে কোন হাই স্কুল বা কলেজ এখনও সরকারী করণ হয়নি। এটা কত দুঃখজনক তা এখানকার বিদ্যুৎসাহী নির্বিশেষে সকল মানুষই গভীরভাবে উপলব্ধি করে। এখানে নেতাদের মাঝে নানা মতানৈক্য ও সংর্কীণতা হেতু তাড়াশের এই দশা। অথচ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে অন্তত: দলমত নির্বিশেষে বৃহত্তর উন্নয়নের লক্ষে ক্ষুদ্র জিদ বা ক্ষমতার দাপট পরিহার করে যে সুযোগ এসেছিল তা যথোচিত কাজে লাগিয়ে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজকে এবার সরকারী করার জন্য নিরংকুশ সমর্থন দেওয়া উচিৎ ছিল। পূনরায় কত বছর পর সরকার আবার কলেজ জাতীয়করণ করবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গোনা কতই যন্ত্রনাদায়ক। তাছাড়া তাড়াশের অভ্যন্তরীন দূষিত বাতাস বিশুদ্ধ করে, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন করত: মানে সব বাধা পেরিয়ে কলেজ জাতীয়করণের স্বপ্ন দেখা – “দিল্লী দূর অস্ত” এর মতো।
আমরা সচেতন এলাকাবাসী এব্যাপারে মর্মাহত,ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত এই সোনালী সুযোগ হারানোর জন্য। জানিনা তাড়াশের নেতৃবৃন্দের কবে আত্মপোলব্ধি ও বোধদয় হবে, যাতে তারা মুক্তমন, উদারচিত্ত এবং প্রগতিশীল দৃষ্টিকোনে ন্যায় নিরপেক্ষভাবে এলাকার উন্নয়ন অগ্রগতিতে ভূমিকা নেবেন। সবশেষে বেদনা এই, তাড়াশের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা স্বনামধন্য সাংসদ পেলাম-অথচ তাড়াশের ঐতিহ্যবাহী কলেজটি সরকারী করণের তালিকায় পেলাম না তার আমলে!