মো. আবুল কালাম আজাদ
#প্রধান শিক্ষকের পদ ৯০ টির মধ্যে শুন্য ১৯ টি। # সহকারী শিক্ষক পদে শুন্য ১০ টি। নারী শিক্ষকের হার ৭০শতাংশ । # নারী (বালিকা) শিক্ষার্থীর হার ৫৩ শতাংশ। # জরিপকৃত শতভাগ শিশু (সহনশীল মাত্রার বিশেষ চাহিদা সম্পন্নসহ) বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ৮৯ জন। # শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৯ টি শিক্ষকের পদ শুন্য আছে।এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য আছে ১৯টি এবং সহকারি শিক্ষক পদে ১০ জন।। আবার পুরুষের চেয়ে নারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আছেন এর মধ্যে- নারী শিক্ষকের হার ৭০ শতাংশ এবং নারী (বালিকা) শিক্ষার্থী ৫৩ শতাংশ। চলতি বছরে জরিপকৃত শতভাগ শিশু (বিশেষ চাহিদা সম্পন্নসহ)বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। ঝড়ে পড়ার হার শুন্য।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯০ টি। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুন্য। এর মধ্যে ১৯টি প্রথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য আছে দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া ৯০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত সহকারি শিক্ষক পদে ৪৭৬ টির মধ্যে আরো ১০টি সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য আছে। অবসরজনিত কারনে চলতি বছরে আরো ৫টি শিক্ষকের পদ শুন্য হবে। সুত্র জানায় ১০টি প্রধান শিক্ষকের পদে আদালতে মামলা থাকায় নতুন করে পদায়ন করা যাচ্ছেনা।
প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের তথ্যসুত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে কর্মরত পুরুষ শিক্ষকের চেয়ে নারী শিক্ষকরা এগিয়ে আছেন। তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কর্মরত প্রধান শিক্ষক ৭৭ জনের মধ্যে নারী শিক্ষক ২৯ জন । কর্মরত ৪৭৬ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে নারী শিক্ষক কর্মরত আছেন ২৬৫ জন । সহকারী নারী শিক্ষকের হার ৭০শতাংশ।
২০২০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেট জরিপকৃত (বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ব্যতিত) ৪ থেকে ১৫ বছর বয়সের মোট শিশুর সংখ্যা ৫৭ হাজার ১৯০ জন। এর মধ্যে বালক ২৭ হাজার ৮২৯জন, বালিকা ২৯ হাজার ২৯৩ জন।বালকের চেয়ে বালিকা ১ হাজার ৪৬৬ জন বেশী।জরিপকৃত শিশুদের মধ্যে বিদ্যালয়ে ভর্র্তি হয়েছে প্রাক প্রাথমিকে ৩৭০০ জন, এর মধ্যে বালক ১৭৭৬ বালিকা ১৯২৪ জন ।১ম থেকে ৫ম শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছে বালক ১১ হাজার ৩৯৬ বালিকা ১২ হাজার ৬৮৯ জন সহ মোট ২৪ হাজার ৮৫ জন। জরিপ করা শিশুদের ৫ + থেকে ১০+ বয়সের শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি বালকের চেয়ে বালিকা ১ হাজার ৩‘শ বেশী।
চলতি বছরের জরিপে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ( প্রতিবন্ধী) ৪ থেকে ১৫ বছরের শিশু বালক ৫১ বালিকা ৫৬ জন সহ মোট ১০৭ জনের মধ্যে সহনশীল মাত্রায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর সংখ্যা বালক ৪১ বালিকা ৪৮ জন সহ মোট ৮৯ জন, যার শতভাগ শিশুই ১ম থেকে ৫ম শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছে। ১১ জন তীব্র মাত্রায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনাই। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুও বালকের চেয়ে বালিকা বেশী। তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, উপজেলার ৪টি ক্লাষ্টারের ৯০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেট এরিয়ায় ৪+ থেকে ১৫+ বয়সের প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেনিতে ভর্তিযোগ্য শিশুদের জরিপ করে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। সে মোতাবেক পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা দেওয়া হয়। শিক্ষা অফিসার আরো বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহায়কের ৩টি পদের বিপরিতে ২টি উচ্চমান সহকারীর পদ শুন্য থাকায় অফিসের দাপ্তরিক কাজে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানালেও কাজ হচ্ছেনা।