ডাঃ আমজাদ হোসেন উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মোড়দহ গ্রামের রাজবংশী পদবীর মৎস্যজীবি পরিবারগুলোর দিন আয়ে সংসার চলে। এরা নিজেদের বংশীয় পেশায় আছে । আবার সে পেশায় নেই বলা চলে। এখানে বসবাস করা প্রায় পনেরোটি পরিবারের কেউ কেউ দিন হাজিরায় অন্যের জাল টানেন। আবার দুচারজন মাছ কিনে বিভিন্ন বাজারে সে মাছ বেচে আয়ের টাকায় সংসার চালান।
এদের বাড়ীর পাশের শিমলা মোড়দহ জলাশয় অতীতে এদের বংশীয় পেশা জমজমাট করে রেখেছিল। এখন তা নেই।উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের মোড়দহ গ্রামে নিজস্ব পৈত্রিক বসতভিটেয় প্রায় পনেরোটি মৎস্যজীবি পরিবার বসবাস করছেন। এরা হলেন – শৈলেন রাজবংশী , রতন রাজবংশী , গৌতম রাজবংশী , ভেবল রাজবংশী , উজ্জল রাজবংশী , মনি রাজবংশী, দয়াল রাজবংশী , শ্যাম রাজবংশী , প্রফুল্ল রাজবংশী , মনো রাজবংশী , কার্তিক রাজবংশী , সনাতন রাজবংশী , বলরাম রাজবংশী , প্রভাত রাজবংশী , রনজিৎ রাজবংশী। এদের নিজস্ব আবাদী জমি জমা নেই বলে জানা গেছে।বংশীয় পেশা হলো মাছ ধরা ও বেচা । এলাকায় এরা হলদার পদবীতে পরিচিত। শৈলেন রাজবংশী ও আরো কজন বলেন তাদের বংশীয় পদবী রাজবংশী। আর বংশীয় পেশা হলো মাছ ধরা ও বেচা।সরেজমিনে মোড়দহ গ্রামে গিয়ে বেশ কয়েক জন মৎস্যজীবি পরিবারের পুরুষ ও নারীদের সাথে কথা হয়েছে। এরা জানান বংশীয় পেশায় আছেন। তবে আগের মতো নিজেরা জাল জলা নিয়ে জোট বেধে নেই। এদের কেউ কেউ দিন হাজিরায় পুকুরে কিংবা অন্যের জলাশয়ে জাল টানেন। এক বেলা জাল টানেন তো আরেক বেলা কাজহীন থেকে সময় পার করেন।
আবার কেউ কেউ এলাকার খাল জলা মালিকদের কাছ থেকে কিংবা এক বাজার থেকে মাছ কিনে আরেক বাজারে বেচে থাকেন। এরা কেনাবেচার আয়ের টাকায় সংসার চালান। এদের বাড়ীর পাশের প্রায় দুইশো বিঘা সরকারী শিমলা মোড়দহ জলাশয়ে সারা বছরই পানি থাকে।বর্ষাকালে পুরো জলাশয় এলাকার আবাদী মাঠগুলোর সাথে পানিতে লাগাতার হয়ে যায়। প্রতিবেদককে এরা বলেন অতীতে শিমলা মোড়দহ জলাশয়ে এরা দলবেধে মাছ চাষ করতেন। সে মাছ তারা সময়মতো ধরতেন ও বেচতেন। তারা বংশীয় পেশায় বেশ ব্যস্ত থাকতেন। সে সময় শিমলা মোড়দহ জলাশয় বছর মেয়াদে সরকারীভাবে ইজারা দেওয়া হতো।এরা দলবেধে ইজারা নিয়ে নিজেরাই মাছ চাষ করতেন। নিজেরাই জাল টেনে মাছ ধরা ও বেচতেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে শিমলা মোড়দহ জলাশয় আর ইজারা দেওয়া হয় না। এখন উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে শিমলা মোড়দহ জলাশয় মৎস্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে।সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন মোড়দহ গ্রামের মৎস্যজীবি পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে শিমলা মোড়দহ জলাশয় লিজ নেওয়ার বিষয়ে লিখিত আবেদন করা হলে সরেজমিনে সব দেখে জেনে বিবেচনা করা যেতে পারে।