গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট মামলার আসামী ইমদাদুল হক ইন্দার (৫০) জামিন না হওয়ায় বাদী আসমা বেগম ও তার স্বামী মকবুল মৃধাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বিক্ষুব্ধ আসামীর লোকেরা। ইন্দা গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লার ইব্রাহীম প্রামাণিকের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) ইন্দার বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন আসমা বেগম। এর আগেও ইন্দার বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা করেন তিনি। পুলিশ ইন্দাকে গ্রেপ্তার করে ওই দিনই নাটোর কারাগারে পাঠায়। আদালতে তার জামিন না হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে বাদীর পরিবারের ওপর হামলা চালায় ইন্দার পরিবারের লোকজন। এর পরপরই চাঁচকৈড় চৈতালীহাটা মোড়ে ইন্দার চাচাতো ভাই মিলন প্রামাণিক পাল্টা হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় পৌরসভার চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লা আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
মামলার বাদী আহত আসমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইন্দা ও তার পরিবারের লোকজন ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। আসমার স্বামী ইন্দার ফুফাত ভাই। শুধু ইন্দার অন্যায় কর্মকান্ডকে সাপোর্ট না দেয়ায় তারা বারবার হামলা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন। হামলাকারীদের মধ্যে ইন্দার ছেলে রনি (২৫) ও চাচাতো ভাই মিলন (৪০) এবং তার ছেলে বিশাল (১৮) সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন বাদী আসমা।
মামলার প্রধান আসামী আব্দুল হামিদ বলেন, ইন্দার ছেলে রনি ও মিলনের ছেলে বিশাল প্রাং মকবুল মৃধাকে মারধর করেছে। আমি এসব জানিই না আমাকেও আসামী করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই ইন্দার মারপিটের শিকার হয়েছেন। দেশীয় অস্ত্রসহ এলাকায় মিছিল করে লোকজনের বাড়িতে হামলা, মারধর এবং চাঁদাবাজি করত সে।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ইন্দাকে গ্রেপ্তার করে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজিসহ ৪টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।