আরিফুল ইসলাম: তাড়াশে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে এক যুবক সহ ৪-৫জনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ উপজেলার উপর-সিলট গ্রামের এক তরুণীর বাবা জামালের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবা মো: জামাল বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবক মহিবুল্লাহ (২৬), সহযোগিতা কারী আ: কাদেরের ছেলে মেজবা (২৫), যুবকের বাবা আ: মমিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ২নং আসামী মেজবার সহযোগিতায় মুহিবুল্লাহ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২বার ধর্ষণ করে। পরে মুহিবুল্লাহ বিয়ে না করলে, প্রায় ১বছর পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তরুণী বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে আসে। তখন ৩নং আসামী আ: মমিন সহ আসামীগন তরুণীকে জোরপূর্বক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
কিন্তু যুবকের বাবা আ: মমিন বলেন, প্রায় ৬ মাস পৃর্বে ওই তরুণী আমার ছেলেকে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলো।তখন আমার ছেলের কাছ থেকে শুনি যে ওই মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে কিনা? ছেলে বলে যে, ওই মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই হয়নি।এগুলো সব মিথ্যা। তারপরে ওই তরুণীকে বললাম, তোমার আর ছেলের শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এটার কি কোনো প্রমাণ রয়েছে? তরুণী বলে, না আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। তাহলে তুমি আমার বাড়ি থেকে চলে যাও, মান সম্মান নষ্ট করো না। তারপরে মেয়েটি চলে যায়। কিন্তু গত পূর্ব শত্রুতার জেরে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) তরুণীকে দিয়ে তার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক শিক্ষক আসাদ মাষ্টার বলেন, ওই তরুণী মহিবুল্লাহর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আমি বলেছিলাম শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্কে ছেলে তো অস্বীকার করে তাহলে তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? তরুণী বলেছিলো আমার কাছে কোনো প্রমাণ নাই। মেয়েটি চলে আসার পরে আর কিছু জানাই নি। হঠাৎ এখন শুনতাছি যে মামলা হয়েছে।
আসামিগন ও স্থানীয়রা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তসহ বাদীকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর বাবা জামাল ১৫এপ্রিল সোমবারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।