আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ :
সিরাজগঞ্জ তাড়াশে মামলার বিবাদীদের সাথে যোগসাজশ করে মারাত্মকভাবে আহত ব্যক্তিদের নরমাল সনদপত্র দেওয়ার লিখিত অভিযোগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোঃ রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে।গত বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী উপজেলার সেরাজপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন। লিখিত অভিযোগে মোক্তার হোসেন জানান, আমাদের সাথে জমি-জমা নিয়ে পৃর্ব শত্রুতার জের ধরে সেরাজপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম লেবু, তার ছেলে বুলবুল হোসেন ও শাকিল আহমেদ সহ সন্ত্রাসী বাহিনী দলবদ্ধ হয়ে গত ০৩/০১/২০২৪ইং তারিখে আমাদের জমিতে পানি সেচ দেওয়া অবস্থায় আমার ছোট ভাই আশরাফ আলী, আব্দুল মান্নান সহ একই পরিবারের ৫জনকে দেশীয় অস্ত্র কোদাল, শাবল, হাসুয়া, বটি, দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে। আহতরা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্মরত ডাঃ মোঃ রাকিবুল ইসলাম কোনো রকমে প্রাথমিক চিকিৎসা করে অপারগতা প্রকাশ করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহতদের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে আহতদের মাথায় ১০/১২ টা সেলাই দিয়ে চিকিৎসা করে ১৫/১৬ দিন পরে মোটামুটিভাবে সুস্থ হয়। পরবর্তীতে সেখানকার কর্মরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহমেদ আহতদের জন্য “মারাত্বক আহত” একটা সনদপত্র প্রদান করেন। সেই সনদপত্র দিয়ে তাড়াশ থানায় শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে সহ ৫ জনের নামে মামলা করা হয়। কিন্তু মারাত্মক ভাবে আহত হলেও তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাঃ মোঃ রাকিবুল ইসলাম বিবাদীদের সাথে যোগসাজশ করে আহতদের জন্য মিথ্যা একটা “নরমাল” সনদপত্র প্রদান করেন। যোগসাজশে নরমাল সনদপত্র দেওয়ায় ডা: রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে আইনগত শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
তবে এবিষয়ে ডা: রাকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: মোনায়েম হোসেন জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।