ফারুক আহমেদঃ
সিরাজগঞ্জ সলঙ্গাতে ঝড়ের পর অতি তাপমাত্রা বাড়ার কারণে সিরাজগঞ্জ সলঙ্গাসহ রায়গঞ্জ,তাড়শ ও উল্লাপাড়া এই সমস্ত এলাকার ফল প্রত্যেক বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমির আমগাছ গুলিতে ঝরে পড়া আমের ছড়াছড়ি।
ঝড়ে সরকারি হিসাবে সলঙ্গা এলাকায় ঝরেছে ৫ শতাংশ আম ক্ষতি ৪০ কোটি টাকা; কৃষকদের হিসাবে আরও বেশি
সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা এলাকায় পরপর গত কয়েক সাপ্তাহ আগে দুই দিনের ঝড়েসহ অতি তাপমাত্রায় আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে গেছে অনেক আম। ফেটে নষ্ট হয়েছে যা পবিত্র রোজার কারণে ফল বিক্রির উপযোগী না হওয়ায় ক্ষতি বেশি হয়েছে তাছাড়া অনেক ফল পচে নষ্ট হচ্ছে। যেগুলো ভালো ছিল তা-ও ঝরে পড়ছে।
সিরাজগঞ্জ সলংগাসহ রায়গঞ্জ,উল্লাপাড়া, তাড়াশ উপজেলার কিছু এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে আম গাছের নিচে পড়ে আছে ঝরে ও অতি তাপমাত্রায় পড়া আম সরকারি হিসাবে এভাবে ঝরে পড়ায় আমের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকার। তবে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের হিসাবে তা অনেক বেশি।
সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা অফিসার সহিদুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে জানান যে, রায়গঞ্জে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগানসহ প্রায় প্রত্যেক বাড়ি আঙ্গিনায় পতিত জমিগুলিতে প্রচুর পরিমান আম গাছ রয়েছে। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ মেট্রিক টন। এই উপজেলায় গত রবি ও সোমবার কালবৈশাখীতে তাছাড়া অতি তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন আম ঝরে পড়েছে। ভরা মৌসুমে আমের দাম গড়ে ৪০ টাকা কেজি ধরলে এর দাম হয় ৪০ কোটি টাকা।
রায়গঞ্জ ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, এই কেন্দ্রে ছোট-বড় দেড় শ আমগাছ রয়েছে। ঝড়ে ৩০-৪০ শতাংশ আম পড়ে গেছে। হয়তো অন্য এলাকায় ক্ষতি কম হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ক্ষতিটা দেখা গেল স্বচক্ষেই। ঐ কর্মকর্তা মল্লিকা জাতের গাছ দেখিয়ে বলেন, গাছটিতে থোকা থোকা আম ছিল। এখন গাছটির এক পাশে হাতে গোনা কয়েকটি আম ঝুলছে।
সলঙ্গা এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম বলেন, প্রায় ৪০ লাখ টাকার আম আগাম কেনা রয়েছে তাঁর। সলঙ্গাসহ তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাগানসহ বাড়ির আঙ্গিনায় আমগাছগুলি থেকে এক-তৃতীয়াংশ আম ঝরে মাটিতে পড়েছে।আমশড়া গ্রামের চারটি আমগাছের মালিক সাংবাদিক ফারুক আহমেদ বলেন, আমার চারটি আমগাছের এবার প্রচুর আম এসেছিল প্রায় সবগুলি ঝরে ঝুরে পড়েছে বাকি আম এখন অধিক তাপ মাত্রা থাকার কারণে পচে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাকি আম গুলি এই ভাবে পচাসহ ঝুরে পড়তে থাকলে আমি আমার ছেলে মেয়েদের মুখে এবার আম তুলে দিতে পারবো না।