নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় তাড়াশ-কুন্দইল সড়কে নি¤œমান কাজ করায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। নির্মাণ কাজ বন্ধ করার ১০দিন পার হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোকজন।সোমবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তাড়াশ উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, এখনো কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে দুই/এক দিনের মধ্যে কার্পেটিং তুলে ফেলা হবে। পুরাতন কার্পেটিং তুলে নতুন করে পাথর বিটুমিন মিশিয়ে সড়কটি মেরামত করা হবে।
নিম্নমানের নির্মাণ কাজ করায় বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী।
তিনি আরো জানান, সিরাজগঞ্জ এলইজিডির সহকারী প্রকৌশলী (আরটিআইপি) সামিউল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী সৌরভ সাহা, ল্যাবটারী টেকনিশিয়ান মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ আসাদ হোসেন (আরটিআইপি) তাড়াশ-কুন্দইল সড়কের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিত থাকা অবস্থায় এই সড়কটির নি¤œমানের কাজ করেছে ঠিকাদার। এই কারণে গত ২২ মার্চ ঠিকাদারের লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষের কারণে বর্তমানে সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় তাড়াশ ও নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ২৫/৩০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে’।স্থানীয় মসলেম উদ্দিন, কামাল, হোসেন, তারা মিয়া, সোলেমান হোসেন বলেন, ‘চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও গুরুদাসপুর উপজেলার অন্তত চারটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক এটি। ধান, সরিষা ও ভুট্টাসহ এ অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরবরাহ করা হয় এ পথেই। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতে যাওয়ার রাস্তাও এটি। এ রাস্তাটি সংস্কার না করায় অন্তত লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে পরেছে।
ঠিকাদার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ১২ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে। আমরা দরপত্র জমা দিয়ে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার পেয়ে কাজও শুরু করেছিলাম। কিছু কাজ করার পর জানতে পারি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের চুক্তি সই না হওয়ায় বরাদ্দ অনুমোদন হয়নি। এ কারণে কাজ বন্ধ করে দেই। পড়ে বরাদ্দ পেয়ে কাজ শুরু করি। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল মিকচার মেশিন নতুন হওয়ায় বিটুমিন মেশানোর একটু সমস্যা হয়। সেই কারণে এলাকাবাসীরা কাজটি বন্ধ করে দেয়। এখানে মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। দুই/এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ এলইজিডির সহকারী প্রকৌশলী (আরটিআইপি) সৌরভ সাহা বলেন, আমাদের অফিসের অনুমতি না নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না বলে মোবাইল রেখে দেয়।সিরাজগঞ্জ এলইজিডির প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিপ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।