শাহজাহান আলী : চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মালিপাড়া মৌজার ভবানা হতে নওগাঁ বাজার পযর্ন্ত রাস্তা ভেঙ্গে গর্ত ও শতশত খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌছে গেছে। প্রায় ৬০ বছর আগে এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের পর ১৯৮৪,১৯৮৮,১৯৯৪ সালে এই রাস্তাটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ-উল্লাপাড়া রাস্তা হতে লাবুর বাড়ি পযর্ন্ত ভবানা রাস্তাটির উভয় পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন মজিবর রহমানগং পুকুর খনন করে রাস্তাটি সম্পুর্ণ চলাচলের অযোগ্য করেছে। গ্রামবাসিরা জানান, মজিবর রহমানগং জোরপুর্বক পুকুর খনন করতে থাকলে এলাকাবাসিরা বাধা দেয়। এই নিয়ে কয়েকবার সালিসী বৈঠক হয়। বৈঠকের পর রাস্তার কোন ক্ষতি হলে মজিবর সংস্কার করে দিবে এই শর্তে গ্রামবাসিরা পুকুর খননে রাজি হয়েছিল। কিন্ত বন্যাও বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে সংস্কারের কথা বললে সে সংস্কার করতে রাজী নয়। এ নিয়ে মজিবর ও গ্রাম বাসির মধ্যে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই রাস্তাটি নওগাঁ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্র,কবরস্থান,ঈদগাহ মাঠ,হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ১৮৮জন এলাকার গন্যমান্য ও জনসাধারণের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্র সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দিয়েছেন। মালীপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গাজী আঃ হাকিম,গাজী বেলাল হোসেন,সাবেক ইউপি সদস্য আঃ সামাদ,সাবেক সেনা সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ জানান, রাস্তাটি নষ্ট হওয়ার ফলে এলাকার মানুষের যোগাযোগের ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কোমলমতি শিশুরা ও স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা সময়মত স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগী নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা হয়। পুকুরের মালিককে রাস্তাটি সংস্কারের কথা বার বার বললেও রাস্তাটি সংস্কার করার কোন ব্যবস্থাই পুকুরের মালিক গ্রহণ করেন নাই। এলাকাবাসিরা তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।