গোলাম মোস্তফা : অবকাঠামো সব রয়েছে। নেই শুধু বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত রাস্তা। চারপাশে ধানক্ষেত আর ডোবা-নালা। বাধ্য হয়ে অনেকটা পথ ঘুরে কৃষি জমির সরু আইল দিয়ে যাতায়াত করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। এমন চিত্র তাড়াশ উপজেলার দিঘুরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল রোমান, ওমর ফারুক, রহ্মত আলী, খাদিজা খাতুন, মমতাজ খাতুন, উম্মে হাবিবাসহ অনেকে জানায়, আসা-যাওয়ার রাস্তা না থাকায় তাদের খুব কষ্ট হয়। পাকা রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা দূরে তাদের বিদ্যালয়। প্রথমে তাদের একটি বসতঘরের পায়খানার পাশ দিয়ে যেতে হয়। এরপর কৃষি জমির আইল আর ডোবা-নালার পাশ দিয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয়। জমির সরু আইল থেকে মাঝে মধ্যেই পা ফসকে কাঁদা পানিতে পড়ে যায়। কাঁদা পানিতে তাদের বই-খাতা নষ্ট হয়। পড়নের পোশাকও ভিজে যায়। যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ রেখেছেন। প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী জানান, রাস্তা ও একটি ব্রিজের জন্য এলজিইডি বরাবর আবেদন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান চলনবিল বার্তাকে জানান, স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে তাড়াশের দিঘুরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তাটি করার চেষ্টা চলছে।
