অনলাইন ডেস্ক: পল্লী বিদ্যুৎ-২ জোনের কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীর কারনে সারিয়াকান্দিতে শত শত গ্রাহককে হাজার হাজার টাকা জরিমানা দিতে হল। এ জরিমানার টাকা প্রদান করার কথা শুনে অনেকেই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, সারিয়াকান্দি উপজেলায় শত শত গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ দিন ছিল ৩১ডিসেম্বর, সে মতে গ্রাহকগন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ দিনে ব্যাংকে এসে ভিড় জমায়। কিন্তু ৩১ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে থাকায় কোন ব্যাংকেই বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করেননি বাধ্য হয়ে গ্রাহকগন বিল নিয়ে বাসায় ফিরে যায়। পরদিন ১জানুয়ারী ২০১৮সালে ওই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধকালে অতিরিক্ত জরিমানা দিয়ে বিল পরিশোধ করতে হয় গ্রাহককে। গ্রাহকরা বলেন, প্রতি মাসে বিল প্রদানের জন্য সামনে ৫-১০দিন সময় দিলেও এবারের বিল পরিশোধের কাগজ অনেক দেরিতে হাতে পেয়েছি। আর পেলেও নির্ধারিত সময় শেষ হবার পূর্বেই বিল দিতে এলেও ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে আমাদের ব্যবহৃত ইউনিটের বিলের উপর অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ছিলিমপুর জোনের জেনারেল ম্যানেজার এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন যে, ওই দিন ব্যাংক বন্ধ থাকলেও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস খোলা ছিল। যার কারনেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত ফি সহ বিদ্যুৎ বিল নেবার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ভেলাবাড়ি জোড়গাছা শাখার হিসাব রক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পল্লী বিদুৎ অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। তবে বিল সিট তৈরি করার পূর্বে বিদ্যুৎ অফিসের তারিখ দিন ভাল দেখা প্রয়োজন। এতে গ্রাহকেরও সুবিধা ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও সুবিধা।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আগে না জেনে খামখেয়ালী করে ব্যাংক হলিডেতে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের দিন ধার্য করায় সাধারণ গ্রাহকগন হাজার হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হলেন বলে উপজেলার সাধারণ গহক সহ অভিজ্ঞমহল মনে করছেন। ভবিষ্যতে খামখেয়ালী করে এ ধরনের দিনে বিল পরিশোধের দিন ধার্য না করার জন্য এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছে।