মোঃ শামছুল হক
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মাদ্রাসা সুপার নিয়োগকে কেন্দ্র করে হট্টগোল সৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। উত্তেজনা বিরাজ করায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জানা গেছে রায়গঞ্জ উপজেলার তিন নম্বর ধুবিল ইউনিয়নের মালতি নগর হযরত শাহজামাল দাখিল মাদ্রাসায় সুপার এবং এবতেদায়ী প্রধানের পদ খালি ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সুপার এবং এবতেদায়ী প্রধানের এই পদ পূরুণের জন্য বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আবুল কাশেম। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর
সুপার পদে ৭ জন এবং এবতেদায়ী প্রধান পদে ৪ জনের আবেদন নিয়োগ কমিটি কর্তৃক বৈধতা পায়।
তাদের সকলকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পত্র যোগে আহ্ব্বান জানানো হয়।
সে অনুযায়ী আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ শনিবার মাদ্রাসার হল রুমে এ পরীক্ষা শুরু করা হয়।
কিন্তু এলাকার কিছু ব্যক্তিবর্গ এটাকে পাতানো নিয়োগ বলে অভিযোগ তোলেন এবং পরীক্ষা বাতিলের জন্য বিক্ষোভ করতে থাকেন।
তারা পরীক্ষা বাতিলের জন্য ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আবুল কাশেম এবং ডিজির প্রতিনিধি সহ নিয়োগ কর্মকর্তাদের চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তাদের দাবি উপেক্ষা করে নিয়োগ পরীক্ষা চলতে থাকায়
উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতির অবনতি দেখে ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আবুল কাশেম তারই মাদ্রাসায় সহ সুপার পদে কর্মরত মাওলানা আব্দুল মালেককে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ দিচ্ছেন। সেই সাথে এবতেদায়ী প্রধান পদের জন্যও গোপনে টাকা নিচ্ছেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকা বাসী সমবেত হয়ে নিয়োগ বন্ধের জন্য বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের দাবি – নিয়োগের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা নিলে তা মাদ্রাসার উন্নয়ন ফান্ডে জমা করতে হবে।
এলাকা বাসি জানান- অত্র মাদ্রাসার বর্তমান সহসুপার আব্দুল মালেক তাড়াশের চকজয় কৃষ্ণপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মাওলানা ছিলেন।
বর্তমান মালতী নগর মাদ্রাসায় সহসুপার পদে আসার জন্য ১২ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে পদ পেয়েছেন।
সেই ১২ লক্ষ টাকার কোন হদিস মেলেনি।
তারা আরও জানান- উচ্চ ডিগ্রীধারী ও যোগ্যতা সম্পন্ন আবেদন কারীদের বাদ দিয়ে আব্দুল মালেকের মত একজন অযোগ্য লোককে সুপার পদে নিয়োগ দিলে মাদ্রাসার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিপতিত হবে।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আবুল কাশেমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি টাকার বিনিময়ে নিয়োগের কথা সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন সরকারী বিধিমোতাবেক নিয়োগ সার্কুলার দিয়ে “নোডোনেশনে” নিয়োগের কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু কিছু কুচক্রীমহল এতে বাধার সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।