তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সহকর্মী দুই নারী শিক্ষিককে কু প্রস্তাব, তাঁদের সাথে অশালীন আচরণ করায় সিরাজগঞ্জের কলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল সালামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়েরর পর তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে।
এ দিকে ভুক্তভোগি দু‘জন নারী শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আপেল মাহমুদ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আতিকুর রহমান কে প্রধান ও সহকারী উপজেলা প্রাথমি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমকে সদস্য করে তদন্ত কমিটির গঠন করেন।
সোমবার দুপুরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনা¯’ল কলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শণ করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত কমিটি তদন্তকালে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির প্রধান মো.আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, তদন্ত কালে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ২০ জুলাই কু- প্রস্তাব দেওয়া, চাকুরী বিধি বর্হিভূত আচরনসহ নানা অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ে দু‘জন নারী সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল সালামের বিরুদ্ধে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর তারই প্রেক্ষিতে এ তদন্ত সম্পূর্ণ করা হয়।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল সালাম বিদ্যালয়ে এসে প্রতিদিন তার দুইজন নারী সহকর্মীকে তাঁর বসার চেয়ার পরিস্কার করে চা দিতে বলেন। আবার ওই শিক্ষিকাদের নিজ বাড়িতে তার এসি কক্ষে শুয়ে বসে আরাম আয়েসে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ করার মত কু- প্রস্তাবও দেন।এ নিয়ে কিছু দিন পূর্বে শিক্ষকাদ্বয় তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এ নিয়েও প্রধান শিক্ষক আব্দুল সালাম ফের ওই শিক্ষকাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন ও অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন।
এছাড়াও শিক্ষক সালামের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ বিদ্যালয়ের দুটি ল্যাপটপ তাঁর ছেলে মেয়ে কে দিয়ে ব্যবহার করারও বিস্তর অভিযোগ আছে। আরো অভিযোগ আছে, শিক্ষার্থীদের ফকিন্নির ছেলে-মেয়ে বলে গালাগাল করা। বিদ্যালয়ের চারুকারু পরীক্ষার সময় পাওয়া শিক্ষার্থীদের হাতের কাজের ঝাড়–, ছাপ্টা নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়সহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষাথীদের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কাজ করানোও অভিযোগ রয়েছে।অবশ্য, সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কলামুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আপেল মাহমুদ জানান, তদন্ত কমিটি তদন্ত সম্পূর্ণ করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এতে ওই শিক্ষক দোষী প্রমানীত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয ব্যব¯’া নেওয়া হবে।