বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেশীগ্রাম গুরপিপল ইউনিয়নে দেওড়া গ্রামে
কবর থাকুন আর না থাকুক বাপ দাদা নামাজ পড়ছে আমরাও পরবো! এমনটাই বলে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে কবরের উপর পড়ছে নামাজ। নিজ দলিল কৃত যায়গা বেদখল চেষ্টা করছে মোঃ তাহের ও দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং মোঃ জাকির হোসেন বিরুদ্ধে আভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে দেখাযায় দেওড়া গ্রামের ঈদগাঁ মাঠ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে একটি দ্বন্দ্ব লেগে আছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে একই গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে ধান ব্যবসা নিয়ে মোঃ তাহেরের ঝামেলা বাঁধে। আর এই ঝামেলা সুখৌশলে ঈদগাঁ মাঠের মধ্যে ডুকিয়ে দেয় তাহের ও তার বড় ভাই প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক। এতে প্রথমে গ্রামের বাসিন্দারা তাহের গংদের কথা মেনে নিলেও পরবর্তী কিছু মানুষ বুঝতে পেরে তাদের কাছ থেকে সরে আসে। কারন ঈদগাঁ মাঠের মধ্যে জাহাঙ্গীর দের ২ শতাংশ দলিল কৃত জমি ও জাহাঙ্গীরের চাচা চাচির কবর দেওয়া আছে। তারা যখন জানতে পারে কবরের উপর নামাজ হবে না ঠিক তখন তাদের পক্ষ ছেড়ে দেয়। কিন্তু তবুও তাহের গং আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এদিকে জাহাঙ্গীর তার চাচা চাচির কবর এবং নিজ জমির জন্য সে নিজে থেকে রাস্তার অপর পাশেই ১০শতাংশ জমি ক্রয় করে ঈদগাঁ মাঠ করার জন্য। গ্রামের প্রায় মানুষ রাজী হলেও রাজী হয় না মোঃ জাকির হোসেন।পরে আমার তারা গোপনে আবার ঈদগাঁ মাঠ নতুন কমিটি গঠন করে। তাদের কথা সেখানে কবর থাকুন আর না থাকুক বাপ দাদা নামাজ পরেছে আমরাও নামাজ পড়বো। নামাজ হোক আর না হোক। এ সম্পর্কে ২০১৭ সালে জাহাঙ্গীরের উপর বাদী হয়েছিল দেওড়া গ্রামের মোঃ কুরবান আলী বলেন, এখন আর ঐ ঈদগাঁ মাঠে নামাজ পড়ি না কারন ওখানে নামাজ হবে না। কারন ওখানে কবর আছে। তখন তাহের ও তার বড় ভাই শহিদুল মাস্টার আমাদের উল্টা পাল্টা বুঝিয়ে আমাকে বাদি করে জাহাঙ্গীরের নামে মামলা করায়। যখন আমি বুঝতে পারি তখন আর আমি মামলা তুলে নেই। একই গ্রামের মোঃ মোজদার ও সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকায় কবর খনন করে আসছি। এই আমগাছের গোড়ায় আমরা দুইজন নিজ হাতে কবর খনন করেছি। আর এখন তারা অস্বীকার করে কি ভাবে নিজেরা পাপের ভাগি তো হচ্ছে সাথে কিছু গ্রামবাসীেকও বানাচ্ছে। আঃ হাকিম বলেন, আমার বাবা মার কবর তারা কি ভাবে অস্বীকার করে, আর যখন আমরা কবর দিলাম তখন কেন নিষেধ করলো না। এখন এসে বলে কবর নাই। ঈদগাঁ মাঠের ঈমাম মওলানা মোঃ কবির মুঠো ফোনে বলেন, আমি ছোট মানুষ আমার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য নেই। আর আমি ওখানে আর নামাজ পড়াবো কি না সেই বিষয়ে সিন্ধান্ত নিচ্ছি। এবিষয়ে দেশীগ্রাম গুরপিপল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লা তালুকদার বলেন, আমি ওই ঈদগাঁ মাঠে গিয়েছিলাম দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা হওয়ার কারনে। দুই পক্ষ কে আগামী রবিবার সার্ভেয়ারের সহযোগিতায় জায়গায় মাফ দেওয়া হবে।#
ReplyForward
|