যৌতুক না মেটায় ভেঙে যায় বিয়ে – কনে চলে গেলেন বরের বাড়িতে !

Spread the love

গোলাম মোস্তফা :কনে পক্ষ তিন ভরি স্বর্ণের গহনা ও একটি ১৫০ সিসি পালসার ব্র্যান্ডের মোটরসাইলে দেওয়ার স্বামর্থ পোষণ করেন। কিন্তু বর পক্ষের যৌতুকের চাহিদা তার থেকেও বেশি ছিলো। এ কারণে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। নিরুপায় হয়ে কনে মাহফুজা খাতুন (২২) চলে যায় তার হবু বর রাসেলের বাড়িতে। সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার বৃহস্পতিবার বিকেলের এ ঘটনা।
কনে মাহফুজা খাতুন বলেন, নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তিনি। তারপরও তার বাবা শুধুমাত্র তার সুখের কথা ভেবে বিয়েতে ঐ পরিমাণ টাকার যৌতুক দিতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ছেলের অভিভাবকরা আরো দুই ভরি স্বর্ণের হাতের দুটি রুলি দাবি করেন। সর্বপরি তার বাবা ছেলের পক্ষের এত টাকার যৌতুকের চাহিদা মেটাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মাহফুজা খাতুন আরো বলেন, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সম্পূর্ণ পারিবারিকভাবে তার বিয়ের কথা হয় রাসেলের সাথে। এরই মধ্যে তার হবু বরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে ভালো লাগা থেকে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু যৌতুক না পেয়ে রাসেলের অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন তার বাবা। মাহফুজা খাতুন উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী। রাসেলের বাড়ি নওগাঁ ইউনিয়নের কালুপাড়া ভায়াট গ্রামে। তার বাবার নাম মোবারক আলী। তিনি তাড়াশ সোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সরেজমিনে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে এ প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেন রাসেল। তার বাবা ও মা’কেও পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাসেলের ফুবা দিলদার আলী প্রামানিক বলেন, যৌতুকের দাবি না মেটালে তো বিয়ে হয়না। তিনি নিজেও কদিন আগে তার মেয়েকে যৌতুক দিয়েই বিয়ে দিয়েছেন।
নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজনু সরকার বলেন, যৌতুক ছাড়াই ভুক্তভোগী মাহফুজা খাতুনকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেওয়ার জন্য রাসেলের বাবার সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম  বলেন, যৌতুকের দাবি করা ও যৌতুক দিতে চাওয়া সমান অপরাধ।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this:

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD