“প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতি না হলে মেধার বিকাশ ঘটবে না” -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

Spread the love

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন- “বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনা এমন জিপিএ-৫ এর প্রয়োজন নেই। শিশুরা সমাজের সম্পদ। তাদের দেখভালের দায়িত্ব সবার। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতি না হলে জাতীয় জীবনে মানসম্পন্ন মেধার বিকাশ ঘটবে না। প্রাথমিক শিক্ষার মুল উদ্দেশ্য পড়তে পাড়া, লিখতে পারা ও নিয়মগুলো শেখা। পুষ্টির উন্নতি না হলে পোড়াশোনায় মন বসে না। টিফিনের আগ্রহে স্কুলমুখী হবে শিশুরা।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জাতীয়ভাবে স্কুল ফিডিং কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই কথাগুলো বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। স্কুল ফিডিং উদ্বোধন শেষে খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুলব্যাগ, টিফিন বক্স, টিফিন ও পানির পট বিতরণ করেন তিনি।
উপদেষ্টা আরো বলেন- “লেখাপাড়া মানসিক শক্তি আর পুষ্টি শারীরিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। প্রত্যেক শিশুর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা লুকায়িত আছে, স্কুলের মাধ্যমে সেই প্রতিভার বিকাশ ঘটে। শিশুরা যেন সমাজের সম্পদ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে এবং তা কাজে লাগাতে পারে, এজন্য সরকার স্কুল ফিডিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতির আয়োজনে সবার সাথে শিশুদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।”
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, স্কুলফিডিং প্রকল্পের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক আতিকুর রহমান, বিশ^ খাদ্য কর্মসূচীর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমিনিকো স্ক্যালপেলি, প্রাথমিক শিক্ষার রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক মো. সানাউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আরিফ হোসেন, গুরুদাসপুরের ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ, প্রধান শিক্ষক রিনা রানী সরকার, শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা ও আফরিন শরীফ।
জানা যায়, সারাদেশের ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি বিদ্যালয়ের ৩১ লক্ষ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে ৫ দিন স্কুল কর্মদিবসে পুষ্টিকর খাবার ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা/মৌসুমী ফল, বান, ডিম ও ইউএইচটি দুধ দেয়া হবে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকাশ ঘটাতে দুই বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে সকল প্রাথমিক স্কুলকে এর আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলোয়াত, গীতাপাঠ, শপথ, পতাকা উত্তোলন ও ফানুস উড়িয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি। এরপর দুপুরে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে “প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ভূমিকা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এসময় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD