সব ভোট কেন্দ্রে বিজয়ী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত মিলন রুবেল

Spread the love

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ  সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই প্রথম সব ভোট কেন্দ্রে বিজীয় হয়ে তাড়াশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ম.ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে ৭১ টি ভোট কেন্দ্রে প্রথম হয়ে মোট ৪৮ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

ম. ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলনের ছেলে।

তার নিকটতম প্রতিনন্দ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫২৭। তিনি তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি। 

২১ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মনি ৪০ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিনন্দ্বন্দ্বী সঞ্জিত কুমার কর্মকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৫৯ ভোট।

এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহফুজা আকতার ফুলবাল মার্কা নিয়ে ২১ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মোছা. শায়লা পারভীন প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ১৮ হাজার ৮২১ ভোট পেয়েছেন। অন্যান্য প্রার্থীরা মোছা. মনোয়ারা বেগম মিনি কলস ১৬ হাজার ১৩৩ ভোট, মোছা. নাজমা খাতুন হাঁস ১৩ হাজার ৭৯৫ ভোট ও মোছা. মর্জিনা খাতুন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৫ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানায়, তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিনন্দ্বন্দ্বীতা করেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন ৫জন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৬ জন। এরমধ্যে মোট ভোট দিয়েছে ৭৬ হাজার ২৩৪ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৭১টি। তিনটি পদে ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৮.০৬%। 

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ম.ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল বলেন, এতে অবাক হবার কিছু নেই, কারণ আমি তো কোনো প্রার্থী ছিলাম না- আমি ছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, ম, আমজাদ হোসেন মিলন এবং এই উপজেলার ধর্ম ও দল মত নির্বিশেষে  সম্প্রির প্রতিনিধি। এজন্যই মানুষ আমায় ভালোবেসেছেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD