আনন্দময়ীর আগমনে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার
আনন্দময়ীর আগমনে ধরায় খুশীর বন্যা নামে
শহর বন্দর বাজার গঞ্জে আরো পল্লীর গন্ডগ্রামে।
পূত্র কন্যা সাথে নিয়ে কৈলাশ থেকে ধরার বুকে
মায়ের উৎসব শুরু হয় মহালয়ার ক্ষন থেকে।
মহাষষ্ঠির বোধন দিয়ে মাতৃপূজা গতি পেলে
সবার মন নেচে ওঠে ঢোল আর ঢাকের তালে
অষ্টমীর কুমারী পূজোয় উৎসব নতুন মাত্রা পায়
মেতে ওঠে নারী শিশু গৌরি কন্যায় দেবী সাজায়।
প্রনতি জানায় দেবীর পায়ে মহশক্তির উৎস জেনে
মহিষমর্দিনীর অন্যরূপ হিসাবে তারে মেনে।
শিশুরা পায় জামা জুতো বউ ঝি গন নতুন শাড়ী
নাড়ু মোয়া খাওয়ার ধুম দেখা যায় সব বাড়ী।
কন্যা যায় বাপের ঘরে বছর বাদে নাইওর খেতে
জামাই বাবুর এই সুযোগে লুচি পায়েস পড়ে পাতে।
মিঠাই মন্ডা ফলার এসব চারিদিকে ছড়াছড়ি
আরতিতে ভক্তের দলে প্যান্ডেলে যায় গড়াগড়ি।
মহামায়া দুর্গা দেবী ভক্তগনের দ্বারে আসে
স্বামী মহাদেবসহ যেন আপন কন্যার বেশে।
সংবৎসর পার্বতী স্বামীর বাড়ী সংসার করে
প্রনামসহ ফুল দেয় পূজারীগন উৎসাহ ভরে।
দূর্গতিনাশিনী, জগত্তারিনী, অন্নপূর্না, দশভূজা
হরেক নামে ডেকে তারে পূন্যার্থীগন দেয় পূজা।
মন্ডপে ঘুরে বেড়ায় বৃদ্ধ, নারী, শিশু, যুবা
নতুন রঙ্গীন পোষাক পরে দেখতে যা মনোলোভা।
নানা স্থানে একারনে ছোট বড় মেলা হয়
চুড়ি, মালা, ফিতা কেনার বেশ ধূম পড়ে যায়।
কয়েক দিনের আনন্দধারা উৎসব শেষ হলে
মাকে বিদায় জানায় সবে বিজয়ার দিন এলে।
সারা বছর সবাই যেন সুখে থাকে, শান্তিতে থাকে
সাষ্ঠাঙ্গে প্রনাম দিয়ে মনে মনে বলে মাকে।
আবার এসো মা দূর্গা সামনে বছর শুভ ক্ষনে
ভক্তিভরে প্রনাম জানায় ভক্তগনে কায়মনে।।