অবশেষে ২ মাস পর হত্যার রহস্য ঊদঘাটনের দাবি

Spread the love

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেশিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস সরকার কে নৃশংসভাবে হত্যার সাথে জড়িত থাকা সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ আট জন সর্বহারাকে গ্রেফতার করেছেন।শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন (বিপিএম, পিপিএম) এতথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বাঙ্গালা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আমার সরকার ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম তুষার (২৫), কাটাখালি পূর্বপাড়া গ্রামের আলহাজ মো. আমীর সরকার ছেলে মো. রহমত আলী (৪৫), দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সুজাপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের বিকাশ মহন্ত’র ছেলে বিশ্বনাথ মহ (২৩), সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সুজা দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত গফুর মোল্লার ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৪০), রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর উত্তরপাড়ার মৃত গকুল চন্দ্র দাস’র ছেলে শ্রী বলরাম চন্দ্র দাস (৩৮), তাড়াশ উপজেলার গুড় পিপুল গ্রামের মৃত শংকর চন্দ্র দাস’র ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস (৪০), টাগরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত জুুরান উদ্দিনের ছেলে মো. রহমত আলী (৪৮), দেওঘর গ্রামের মৃত গণেশ উরাও’র ছেলে শ্রী সুনীল উরাও (৪৫)।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বলেন, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার ভোগলমান বাজারে শত শত লোক সমাগমের মধ্যে মুখোশধারী আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী ১৪/১৫ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী গুলি করে আঃ কুদ্দুস সরকারকে হত্যা করে। হত্যা করে বাজারে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট এবং সর্বহারা পার্টি জিন্দাবাদ ¯েøাগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনায় ২০ ফেব্রæয়ারী তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।তিনি আরও জানান, শনিবার ভোর রাতে তাড়াশ দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দোগাড়ীয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি সন্ত্রাসী দল মহড়া দিচ্ছে। গোপন সংবাদে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও তাড়াশ থানার বিশেষ টিম এই সন্ত্রাসীদের অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এসময় তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী তাড়াশ থানার তালম ইউনিয়নের দেওঘর গ্রাম হতে শ্রী সুনীল উরাওকে গ্রেফতার করে।
এসময় তাদের কাজ থেকে ২০০২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ী পুলিশ ক্যাম থেকে লুট হওয়া ১টি এসএমজি, ১ টি থ্রি-নট থ্রি রাইফেল, ১ টি থ্রি নট থ্রি কাটা রাইফেল, ১১ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি তাজা গুলি, ১ টি গুলির খোসা, ২ টি চাকু, ১ টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ১টি অটো ভ্যান গাড়ী উদ্ধার করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. সামিউল আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. জুলহাজ উদ্দিনসহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিড়িয়ার সাংবাদিকরা উপিস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD