সিরাজগঞ্জ(সলঙ্গা)থেকে ফারুক আহমেদঃ
ঘূর্ণিঝড় চিত্রাংয়ের প্রভাবে সলঙ্গাতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে সিরজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার বিভিন্ন এলাকায় মাঠে রবি শস্যের সঙ্গে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা ধোর ও আধা পাকা আমন ধান মাঠে নষ্ট হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় আবার আমন ধান কাটা জারাই মাড়ায় শুরু করেছে ফলে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় অনেক কৃষকেই মাঠ থেকে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারেননি। ফলে উৎপাদিত ধান নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন ধান চাষিরা।
রায়গঞ্জ উপজেলা সলঙ্গা ৩নং ধুবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আমশড়া গ্রামের কৃষক দুলাল আলী। তিনি এ বছর আমন ধান চাষ করেছেন ৩ বিঘা জমিতে। প্রতি বিঘায় বীজ, চাষ, সার, কীটনাষক ও শ্রমিকসহ তার খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। জমিতে সেঁচ বাবদ আরও দিতে হবে ৪ মন ধান।
তিনি জানান, আমার সব কয়েকটি আমন ধান ক্ষেত নিচু হওয়ায় আমি আমার সব কয়েকটি ধান ক্ষেতে রণজিৎ ধান লাগিয়ে ছিলাম। আমার সব কয়েকটি ক্ষেতের ধান চিত্রাংকের ঝড়ে কার্তিকের তান্ডবে প্রতিটি ধানের জমি এখন পানির নিচে। এবার আমার মাঠে কাঁচি যাবে না।
আবুল হোসেন, ওমর ফারুক, হাছান আলী ও আব্দুস সালামসহ অনেক কৃষক জানান, এবছর আমন ধানের উৎপাদন খরচ তোলা কোন ভাবেই সম্ভব না। তবুও অধিক মজুরি দিয়ে মাঠ থেকে ধান তুলতে হবে। শ্রমিককে দিয়ে যা পাওয়া যাবে তা দিয়ে খুব কম সংখ্যাক মানুষের উৎপাদন খরচ উঠবে। আবার কোন কোন কৃষক পুরোটাই ক্ষতিতে পড়বে।
শ্রমিকরা জানান, ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পানিতে ভাসছে ধান। এমন অবস্থায় ধান কাটতে এবার অনেক সময় লাগবে। ফলে গত বারের তুলনায় এবার কৃষকদের বাড়তি মজুরি দিতে হবে । বিগত বছর গুলোতে এক বিঘা জমির ধান কাটতে শ্রমিক লেগেছে ৫ থেকে ৬ জন। আর এ বছর সেখানে লাগবে ৮ থেকে ৯ জন।রায়গঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলছেন, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ১ হাজার ১০০শ, ২২ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এবার উপজেলায় চিত্রাংয়ের ঝর ও কার্তিকের তান্ডবের কারণে ক্ষতির পরিমান হয়েছে ২০০ হেক্টর। এবার আমন ধান জমিতে নষ্ট হওয়ার কারণে তাছাড়া বিভিন্ন ভাটায় শ্রমিক কাজ করার কারণে এমনকি এবার ধান কাটা মাড়ায় বিলম্বে শুরু হওয়ায় কিছুটা শ্রমিক সংকট দেখা দিবে। ক্ষতি থেকে রেহায় পেতে আগামীতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
