সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যায় কি: হাইকোর্
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশান (এমএসএফ) উচ্চ আদালতের অগ্রহণযোগ্য ও নারীবিদ্বেষী পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
গত ১৮ মে,২০২২ ভোরে পোশকের জন্য নরসিংদী রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতারকৃত মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলার জামিন আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে উচ্চ আদালত প্রশ্ন রাখেন ‘সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যায় কি? এ বক্তব্যটি নারীর প্রতি অগ্রহণযোগ্য ও বৈষম্যমূলক বলে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশান (এমএসএফ) মনে করে এবং উচ্চ আদালতের এ হেন পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
সংবাদসূত্রে জানা যায়, ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী গত ১৮ মে ভোরে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হন। তাঁর সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুও মারধরের শিকার হন। এক ব্যক্তি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরো দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। অনেকেই পোশাকের কারণে তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন । ঘটনায় অভিযুক্ত নারীর জামিন শুনানির সময় উচ্চ আদালত উক্ত তরুণীর পোশাককে দৃষ্টিকটু বলে বক্তব্য প্রদান করেন। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকার আছে কি না? পোশাক সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না?
ঢাকায় এক ধরনের, গ্রামে অন্য ধরনের। সেখানে গ্রামের মতো একটি জায়গায় পাবলিক প্লেসে এ রকম পোশাক পরা স্বাধীনতা হতে পারে না।’ এ প্রসঙ্গে WRIT PETITION NO. 4495 of 200 অ্যাডভোকেট মো: সালাহউদ্দিন দোলন বনাম বাংলাদেশ সরকার মামলায় Justice Syed Mahmud Hossain And Justice Syeda Afsar Jahan এর বেন্চও সমানাধিকারের ক্ষেত্রে সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ এর উল্লেখ করেছেন। ”Sub-article (2) of Article 28 specifically provides that women should have equal rights with men in all spheres of the State and of public life. Sub-article (4) of Article 28 provides that nothing in this article shall prevent the State from making special provision in favour of women or children or for the advancement of any backward section of citizens.” তাছাড়া এ বিষয়ে একটি মামলায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মাহমুদ হোসেন এর পোষাক পরিধানের স্বাধীনতার উপর যে রায় রয়েছে এই পর্য্যবেক্ষণে তারও লংঘন ঘটেছে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশান (এমএসএফ) মনে করে, আদালতের পর্যবেক্ষণ যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা পোশাকের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতাকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দেখানো হয়েছে। দেশের সংবিধান এর ২৮ ধারা অনুযায়ী নারীর প্রতি রাষ্ট্র কোনো ক্ষেত্রে বৈষম্য করতে পারে না এবং নাগরিক হিসেবে নারী সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাওয়ার অধিকারি। এখানে নাগরিক হিসেবে নারীর সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোনো ব্যাক্তি কোনো কারণেই অপর কারো সংগে সহিংস আচরণ করতে পারেন না। সেটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আদালতের পর্য্যবেক্ষণে প্রকারান্তরে এই ধরনের সহিংস আচরণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এমএসএফ, আদালতের এই বৈষম্যমূলক এবং অগণতান্ত্রিক পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি আদালতের এ অগ্রহণযোগ্য ও নারীবিদ্বেষী পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি করছে।
গত ১৮ মে,২০২২ ভোরে পোশকের জন্য নরসিংদী রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতারকৃত মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলার জামিন আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে উচ্চ আদালত প্রশ্ন রাখেন ‘সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যায় কি? এ বক্তব্যটি নারীর প্রতি অগ্রহণযোগ্য ও বৈষম্যমূলক বলে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশান (এমএসএফ) মনে করে এবং উচ্চ আদালতের এ হেন পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
সংবাদসূত্রে জানা যায়, ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী গত ১৮ মে ভোরে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হন। তাঁর সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুও মারধরের শিকার হন। এক ব্যক্তি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরো দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। অনেকেই পোশাকের কারণে তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন । ঘটনায় অভিযুক্ত নারীর জামিন শুনানির সময় উচ্চ আদালত উক্ত তরুণীর পোশাককে দৃষ্টিকটু বলে বক্তব্য প্রদান করেন। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকার আছে কি না? পোশাক সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না?
ঢাকায় এক ধরনের, গ্রামে অন্য ধরনের। সেখানে গ্রামের মতো একটি জায়গায় পাবলিক প্লেসে এ রকম পোশাক পরা স্বাধীনতা হতে পারে না।’ এ প্রসঙ্গে WRIT PETITION NO. 4495 of 200 অ্যাডভোকেট মো: সালাহউদ্দিন দোলন বনাম বাংলাদেশ সরকার মামলায় Justice Syed Mahmud Hossain And Justice Syeda Afsar Jahan এর বেন্চও সমানাধিকারের ক্ষেত্রে সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদ এর উল্লেখ করেছেন। ”Sub-article (2) of Article 28 specifically provides that women should have equal rights with men in all spheres of the State and of public life. Sub-article (4) of Article 28 provides that nothing in this article shall prevent the State from making special provision in favour of women or children or for the advancement of any backward section of citizens.” তাছাড়া এ বিষয়ে একটি মামলায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মাহমুদ হোসেন এর পোষাক পরিধানের স্বাধীনতার উপর যে রায় রয়েছে এই পর্য্যবেক্ষণে তারও লংঘন ঘটেছে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশান (এমএসএফ) মনে করে, আদালতের পর্যবেক্ষণ যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা পোশাকের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতাকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দেখানো হয়েছে। দেশের সংবিধান এর ২৮ ধারা অনুযায়ী নারীর প্রতি রাষ্ট্র কোনো ক্ষেত্রে বৈষম্য করতে পারে না এবং নাগরিক হিসেবে নারী সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাওয়ার অধিকারি। এখানে নাগরিক হিসেবে নারীর সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কোনো ব্যাক্তি কোনো কারণেই অপর কারো সংগে সহিংস আচরণ করতে পারেন না। সেটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আদালতের পর্য্যবেক্ষণে প্রকারান্তরে এই ধরনের সহিংস আচরণকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এমএসএফ, আদালতের এই বৈষম্যমূলক এবং অগণতান্ত্রিক পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি আদালতের এ অগ্রহণযোগ্য ও নারীবিদ্বেষী পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি করছে।